সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলেনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। চারশো পারের স্বপ্নও পূরণ হয়নি। তার পরও প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে নানা মন্তব্য করেছে বিদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। কারোওর মতে, ভারতীয় রাজনীতির হাওয়াবদল হয়েছে। আবার কোনও সংবাদমাধ্যমের মতে, ভারতে বিরোধীদের পুনর্জাগরণ হয়েছে।
রবিবার মোদির (PM Modi) পাশাপাশি মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ৭২ জন সদ্য নির্বাচিত সাংসদ। জওহরলাল নেহরুর নজির ছুঁয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি শপথ নিয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর, অসমের সর্বানন্দ সোনওয়াল, বিহারের জিতেন রাম মাঝি এবং কর্নাটকের এইচ ডি কুমারস্বামী- সহ ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বার মন্ত্রিসভায় নির্মলা সীতারমণও। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই বেসুরো বিজেপির সাংসদ, ‘এই পদ চাই না’, বলছেন সুরেশ গোপী]
তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো তুলে ধরেছে, কিভাবে শরিক 'কাঁটা'য় বিদ্ধ হবেন সদ্য শপথ নেওয়া মোদি (Narendra Modi)। চারশো পারের প্রত্যাশা জাগিয়েও কিভাবে ব্যর্থ হয়েছে পদ্মশিবির। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা হয়েছে, "নতুন সরকার শপথ নিলেও বোঝা যাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক হাওয়া বদলাচ্ছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি বলে শরিকদের সঙ্গে নিয়েছেন মোদি। তাই প্রচারের আলোয় এসে গুরুত্ব বাড়ছে শরিক দলগুলোর।"
বিবিসির মতে, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়ে সরকার গড়েছেন মোদি। অর্থাৎ ভারতে বিরোধীরা পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন। সংবাদসংস্থা আল জাজিরার দাবি, জোট সরকারে বিজেপির মতামত প্রাধান্য পাবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। তাছাড়াও যেসমস্ত জোটসঙ্গীরা নতুন করে এনডিএতে ফিরেছেন তাঁদের সঙ্গে বিরোধীদের যোগাযোগ থাকবে। জোটসঙ্গীদের সামলানোও চ্যালেঞ্জ হবে মোদির পক্ষে। ফ্রান্সের এএফপির মতে, শরিকদের বড়সড় দাবি সামলাতে 'আত্মত্যাগ' করেছে বিজেপি।