সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ। এদিকে কোভিড ভ্যাকসিনের (COVID-19 Vaccine) জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে হাপিত্যেশ করে বসে আছে বাংলাদেশ, নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি। এমনকী কোভিশিল্ড চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টও। তাঁদের কবে কোভিড প্রতিষেধক পাঠানো হবে? মঙ্গলবার সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর এদিন সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানান, কোভিড ভ্যাকসিনকে এখনই বাজারজাত করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র জরুরি ব্যবহারের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশের সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। তাও সীমিত সংখ্যক ডোজ পাঠানো হবে বলেও এদিন জানান বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু কবে পাঠানো হবে প্রতিষেধক? প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হোক। তারপরেই প্রতিবেশী দেশে কোভিড প্রতিষেধক পাঠানোর পরিকল্পনা স্পষ্ট করবে কেন্দ্র। তবে কথা মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেবে ভারত।” উল্লেখ্য কোন দেশে কত টিকা কীভাবে পাঠানো হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদেশমন্ত্রককে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে টিকাকরণ শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশগুলিকে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানো শুরু হতে পারে। ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রাজিল কোভ্যাক্সিন পাঠাতে তাঁরা একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন : নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ, পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে তিন কোটি ভায়াল কোভিশিল্ড চেয়েছে বাংলাদেশ। ১ কোটি ২০ লক্ষ ভায়াল ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপাল। জরুরি ভিত্তিতে ২০ লক্ষ টিকা চেয়েছে ব্রাজিল। প্রতিষেধক চেয়ে আবেদন করেছে ভূটান. মায়ানমারের মতো প্রতিবেশি দেশগুলিও। এদিকে সেরাম ইনস্টিটিউটকে ১ কোটি ১০ লক্ষ ভায়াল কোভিশিল্ডের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। যা ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের কোনও ভ্যাকসিনই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয়নি। শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে কোভিড ভ্যাকসিন খোলা বাজারে বিক্রির বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।