নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সামনেই নির্বাচন। তার আগে গুজরাটে (Gujarat) ভোটপ্রচারে বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে প্রচার করানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এমন অভিযোগ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে চিঠি লিখে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন। এবিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের আরজি জানানো হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
ঠিক কী লিখেছেন সাকেত? তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি তাদের টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেই ভিডিওয় গুজরাটের ভোটপ্রচারে বিদেশি নাগরিকদের স্লোগান দিতে দেখা দিয়েছে। তাঁদের রীতিমতো গেরুয়া বসন পরে মানুষকে বিজেপিকে ভোট দিতে আরজি জানাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর দাবি, এটা ১৯৫১ সালের ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং ভিসা সংক্রান্ত আইনের লঙ্ঘন। অভিযোগের সঙ্গে ভিডিওটিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে ভোটের ঠিক আগে গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করতে গেলেই আদালতে স্থগিতাদেশ, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
এমনিতেই এবারের নির্বাচনে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশে এসেছে। ‘এই গুজরাট আমি তৈরি করেছি।’ সম্প্রতি মোদি এই দাবি করায় বেজায় ক্ষুব্ধ দলের প্রবীণ নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতৃত্বকে বোঝাতে আমেদাবাদ ছুটে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দলের প্রবীণদের বোঝাতে প্রত্যেকের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করছেন। এমনিতেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকে গুজরাটে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভের আগুনে পুড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তার উপর মোদির বক্তব্য জ্বলতে থাকা আগুনে ঘৃতাহুতি বলেই মনে করছে দলের একাংশ। কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনেও ‘উন্নয়নের গুজরাট মডেল’ ছিল বিজেপির স্লোগান। কিন্তু মোদি এমন দাবি করায় দলের অভ্যন্তরের অসন্তোষে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এবার তৃণমূলের অভিযোগে নতুন করে সমস্যায় পড়ল বিজেপি।
উল্লেখ্য, আগামী ১-৫ ডিসেম্বর দুই পর্যায়ে নির্বাচন গুজরাটে। ফলপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর। গত ৬টি বিধানসভা নির্বাচনে টানা জিতেছে বিজেপি। এবারও তাদের পাল্লা ভারী। তবুও সাম্প্রতিক বিতর্কে তারা অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।