সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ দিন ধরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতির মুখে ওড়িশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল (Similipal) জাতীয় উদ্যান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ভয়াবহ আগুন। শনিবারও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা পরিবেশবিদদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। যদিও শুক্রবারই এক টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, সিমলিপাল উদ্যানে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় কোনও রকম প্রাণহানি ঘটেনি।
অন্যদিকে, কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, “বিগত ১০ দিন ধরে চলা এই অগ্নিকান্ডে কোন মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে প্রায় ৫,২৯১টি গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার মধ্যে বেশকিছু ঔষধি গাছও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বাবার, পরিবারকে বাঁচাতে বন্দুকের লাইসেন্স চাইলেন হাথরাসের নির্যাতিতা]
সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের এই ঘটনায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Nabin Pattanayak) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনাও করেছেন।
উল্লেখ্য, সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্রটি প্রায় ২ হাজার ৭৫০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে। হাতি ও বাঘ সংরক্ষণের জন্য এই উদ্যানটি বিখ্যাত। তাছাড়াও এটি এশিয়ার বৃহত্তম শালবন তথা ভারতের বৃহত্তম বায়োস্ফিয়ার উদ্যান (Biosphere Reserve)। এখানে প্রায় ৯৪ ধরনের অর্কিড, ৩০৪ ধরনের পাখি, ৬০টি প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬৪ ধরনের প্রজাপতি ও ৩৮ ধরনের মাছের সম্ভার রয়েছে। উদ্যানে কর্মরত আধিকারিক জানিয়েছেন, গরমের সময়ে গাছপালার ডাল শুকিয়ে যায়। ফলে আগুন প্রথমে অল্প জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকলেও তা পরবর্তী সময়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, ওড়িশার জশিপুরের পঞ্চায়েত প্রধান প্রশাসনিক ব্যার্থতা ও বন আধিকারিকদের উদাসীনতাকে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনার জন্য দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের আধিকারিকরা।