শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে ঝিল। কমে আসছে পরিযায়ীদের সংখ্যা। পূর্বের অবস্থায় ফেরাতে গোঁসাইহাট পাখিরালয়ের ঝিল সংস্কারের উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ি বন বিভাগ। আগামী বছর বর্ষার আগেই সংস্কারের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা। তাতে আগামী বছর শীতে খুট্টি মারির জঙ্গলের গোঁসাইহাট ঝিল পুনরায় পরিযায়ীদের কলতানে মুখরিত হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী বনদপ্তর।
পরিবেশেগত কারণে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে এক সময় আকর্ষনের জায়গা ছিল গোঁসাইহাট।মরাঘাট জঙ্গল সংলগ্ন এই এলাকায় হাতি, হরিণ, বাইস এবং হরেক রকমের পাখির বসবাস। শীত মানেই গোঁসাইহাট ঝিলে আনাগোনা শুরু পরিযায়ী পাখিদের। তবে রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে বদলে গেছে ছবিটা। স্থানীয়দের দাবি , গত কয়েক বছর থেকে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা কমেছে।এই বছর হাতে গোনা কিছু পাখি এসেছে এই জলাশয়ে। এরজন্য জলাশয় সংস্কার না হওয়া কেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য জলাশয় সংস্কার না হওয়ায় আবর্জনার স্তুপ জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ। সেই কারনে আসা কমিয়ে দিয়েছে পরিযায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বন বিভাগও।
মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য জানান, পরিযায়ীদের প্রয়োজনীয় পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে জলাশয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলাশয় সংলগ্ন পার্ক ও সংলগ্ন এলাকা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। জলাশয় সংস্কারেরও পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। এই বছর সংখ্যায় কম এলেও বেশ কয়েক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। ঝিলের যে অংশে পরিষ্কার জল রয়েছে সেখানে ঘোরাফেরা করছে। পাখিদের নিরাপত্তায় নজরদারিও বসানো হয়েছে। রেঞ্জ অফিসার জানান, ঝিল সংস্কারের প্রস্তাব গিয়েছে। আশা রাখি, আগামী বর্ষার আগেই কাজ শেষ করে ফেলা হবে। তাতে গোঁসাইহাট ঝিল আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে আসবে। পরিযায়ীদের সংখ্যাও আগামীতে বাড়বে বলেও আশা রাখা যায়।