সুমিত বিশ্বাস, মানবাজার: হাতির দল যেন মণ্ডপের দিকে না যায় তা খেয়াল রাখতে পুজোর দিনগুলোয় রাত জাগছে বনকর্মীদের ব়্যাপিড রেসপন্স টিম। দশমী পর্যন্ত রাত জেগে পাহারা দেবে পুরুলিয়া ও কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ১০টি বনাঞ্চলের বনকর্মী ও আধিকারিকদের মোট ২৮টি রেপিড রেসপন্স টিম। থাকছে ২৪ ঘণ্টা ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা। যাতে হাতিদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে জানা যায়।
ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় (Purulia) একের পর এক হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুজোর মধ্যে যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখছে বনবিভাগ। পুরুলিয়া বিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, “পুজোর কথা মাথায় রেখে হাতিদের গতিবিধির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে। কোনও গতিবিধির খবর থাকলে বিভিন্ন রেঞ্জে মোতায়েন থাকা ব়্যাপিড রেসপন্স টিমকে নিয়ে মোকাবিলা করব আমরা।”
পুরুলিয়ার এই দুই ডিভিশনের বান্দোয়ান, বাঘমুন্ডি, মাঠা, অযোধ্যা-সহ ঝালদা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় একাধিক পুজো হয়। ফলে ঠাকুর দেখার জন্য এই পাঁচদিন এলাকার মানুষজন জঙ্গল – মেঠো পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে ‘মেন- এনিমেল কনফ্লিক্ট’ আটকাতেই বনদপ্তরের এই ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: মদ্যপান ঘিরে বিবাদ, স্ত্রীর মাথায় মদের বোতল ভেঙে খুন স্বামীর]
বনদপ্তর সূত্রে খবর, এক একটি রেপিড রেসপন্স টিমে ২৫ জন করে স্থানীয় মানুষজন মশাল, টায়ার, ফটকা নিয়ে রাত জাগবেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ওই টিমকে নিয়ে চটজলদি ঘটনাস্থলে পৌঁছবে বনদপ্তর। শনিবার রাত পর্যন্ত পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে কোনও হাতির উপস্থিতি না থাকলেও পুরুলিয়া ডিভিশনের বলরামপুরে রয়েছে একটি দাঁতাল।
শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভুম জেলা থেকে শাবক সহ সাত – আটটি হাতির একটি দল বলরামপুরের বড় চাতরমা গ্রামে ঢোকে। যদিও ওইদিন রাতেই রেপিড রেসপন্স টিম ওই দলটিকে ফের ঝাড়খণ্ডে পাঠাতে সক্ষম হয়। তবে বনদপ্তরের আশঙ্কা, ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে থাকা ওই দলটি খাবারের সন্ধানে যে কোনও মুহূর্তেই ফের ঢুকতে পারে এই বনাঞ্চলে। অন্যদিকে ঝালদা ও বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের সুবর্ণরেখার ওপরে ঝাড়খণ্ডে পৃথক দু’টি দলে থাকা প্রায় ৫০ হাতি চোখ রাঙাচ্ছে।