সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরে বড় ভাঙন বাংলাদেশে৷ শেখ হাসিনা শিবিরে স্বস্তি এনে ফের জেলের সাজা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার৷ সোমবার দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের একটি আদালত৷ এদিন ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যেই বিচারপতি মোহম্মদ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে ওঠে মামলা৷ মামলার শুনানিতে খালেদাকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত৷ তবে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনের আগে খালেদাকে জেলা পাঠাতেই সরকারি তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিএনপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে৷
[বাংলাদেশে ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের মুখে আলকাতরা দিল বিক্ষোভকারীরা]
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট (জিয়া অনাথ আশ্রম) দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের জেল হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। পরে জামিনে মুক্তি পান খালেদা৷ অনাথদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা অনুদান তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে৷
[আরও মজবুত সম্পর্ক, এবার কলকাতা-হলদিয়া বন্দর ব্যবহার করবে বাংলাদেশ ]
সাত বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন শাখা চার জনের নামে মামলা দায়ের করে৷ নাম জড়ায় খালেদার৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সৌজন্যে খালেদা জেলে পাঠানো ছিল পুলিশের কাছে বড় চ্যালেজ্ঞ৷ এই মামলায় অবশেষে আজ, খালেদার অনুপস্থিতিতে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ‘এতিমখানা’ দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়৷ গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি তিনি৷ চিকিৎসার জন্য গত ৬ অক্টোবর থেকে তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা৷