সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে ভোটের দামামা বেজেছে। অথচ সেই ভোটে লড়াই করা তো দূরে থাক, প্রচারেও নেই আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। সাড়ে ন’শো কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলবন্দি তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বস্তি দিয়ে শুক্রবার তাঁর জামিন (Bail) মঞ্জুর করল ঝাড়খণ্ড আদালত। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে আপাতত জেলের বাইরে বেরতে পারছেন না বিহারের এই দাপুটে নেতা। বিহারেও প্রবেশ করতে পারবেন না। ফলে নিজের রাজ্যের বাইরে বসেই তাঁকে নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতে হবে।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার মধ্যে চাঁইবাসা ট্রেজারির (Chaibasa treasury case) প্রায় ৩৪ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় এদিন তাঁকে জামিন দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। কিন্তু দুমকা ট্রেজারি মামলায় জামিন পাননি তিনি। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে লালুপ্রসাদ যাদবকে। প্রসঙ্গত, আরজেডি নেতা দুমকা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ১৪ বছরে সাজা কাটছেন। যদিও গত দু’বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি জেলের বদলে ঝাড়খণ্ডের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানই নির্বাচনের ওয়াররুম বানিয়ে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন : বিজেপির ‘বি’ টিম? দলিত-মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে বিহারে তৃতীয় ফ্রন্ট ওয়েইসি-মায়াবতীর]
১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেইসময় দুমকা ট্রেজারি থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা তোলে পশুপালন বিভাগ। কিন্তু এই টাকা খরচের কোনও হিসাব মেলেনি। বরং সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এই মামলা-সহ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মোট ছ’টি মামলায় নাম জড়ায় আরজেডি নেতার। তারমধ্যে তিনটির সাজা ঘোষণা হয়েছে। তাতে সাড়ে তিন বছর, তিন বছর ও ১৪ বছরের কারাদন্ডের সাজা পেয়েছেন লালু। আদালতের রায় ঘোষণার পর ২০১৭ সাল থেকে জেলবন্দি তিনি। প্রসঙ্গত, দেওঘর ট্রেজারি কেলেঙ্কারি মামলায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই জামিন পেয়েছেন তিনি। কিন্ত দুমকা ট্রেজারি মামলায় জামিন না পাওয়া পর্যন্ত জেল থেকে মুক্তি পাবেন না। ফলে বিহার নির্বাচনের প্রচারে লালুর থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
[আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ ! সাতসকালে প্রকাশ্যে খুন বিজেপি বিধায়কের আত্মীয়]
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর থেকে বিহার নির্বাচন শুরু হচ্ছে। তিনি সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে যুক্তও থাকতে পারবেন না। কারণ আদালত তাঁকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবং তাঁর সংসদের সদস্যপদও খারিজ করেছে। বিহারে না ঢুকেও নির্বাচনের নির্ধারক ফ্যাক্টর যে তিনি, তা বলাইবাহুল্য।