ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দীর্ঘদিনকার রাজনৈতিক আদর্শ বদলে তৃণমূলে যোগদান করে বড় চমক দিয়েছিলেন বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। আর নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতার নিরিখে এবার দলে বড় পদ পেলেন তিনি। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে তাঁকে সামনে আনা হল। দলের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটিতেও (National working committee) তাঁকে সদস্য করা হয়েছে। সোমবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে এহেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসকদল নিজেদের শক্তি বাড়াল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই শনিবার বেলার দিকে তৃণমূল ভবনে এসে দলীয় পতাকা হাতে তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তার আগে সকালে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মমতার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলার পরই শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওইদিন তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের তিন শীর্ষনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ‘সন্ধের পর যাদের পা টলমল করে, তাদের ভোটের কাজে নয়,’ বিতর্কিত মন্তব্য সৌগতর]
আজীবন বিজেপির সঙ্গে থাকা প্রবীণ রাজনীতিক হঠাৎ কেন তৃণমূলে এলেন? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেদিন মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন তিনি। বিজেপির ত্রুটিবিচ্যুতি প্রকাশ্যে এনে মমতার যোদ্ধাসুলভ মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। আর এবার তাঁকেই বড় পদে এনে আসলে নিজেদের সমৃদ্ধ করল তৃণমূল। সোমবার থেকে তৃণমূল ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে সহ-সভাপতি পদে বসানো হল যশবন্ত সিনহা। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জনিয়েছেন। এই মুহূর্তে তৃণমূল প্রেসিডেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঠিক পরবর্তী পদেই এলেন যশবন্ত সিনহা। এবার থেকে তিনি এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি দু’জন একসঙ্গে কাজ করবেন।