বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও অভিরূপ দাস: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থা এখনও একই রকম। সকালের পর বিশেষ উন্নতি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের বুলটিন অনুযায়ী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদাও সকালের মতোই রয়েছে। সামান্য কথা বললেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশ। প্রতি মিনিটে চার লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে। তাঁর হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৫৬। তবে শুকনো কাশি রয়েছে। প্রস্রাবও স্বাভাবিক। তবে সামান্য কথা বললেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তার মধ্যে রয়েছে, Clexane, Solumedrol ও রেমডেসিভির। এখনও পর্যন্ত মোট চারবার রেমডেসিভির দেওয়া হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার বুদ্ধবাবুর মেডিক্যাল টিমে যোগ দিয়েছেন আরও এক চিকিৎসক, আশিস পাত্র।
[আরও পড়ুন:করোনা আবহে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ল রাজ্যে, বেশ কিছু ছাড় শিল্পক্ষেত্রে]
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে করোনায় আক্রান্ত হন সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বর্ষীয়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি-র সমস্যাও রয়েছে। তবে হাসপাতালে ভরতির ক্ষেত্রে অনীহা ছিল তাঁর। তাই স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে (Mira Bhattacharya) হাসপাতালে ভরতি করা হলেও বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবারই বাড়ি ফেরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। মঙ্গলবারই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-র কাছাকাছি চলে যায় তাঁর। দুর্যোগের মধ্যে আর বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। তাই হাসপাতালে ভরতি করেই তাঁর চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো হাসপাতালে ভরতি করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।