সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: টেট কেলেঙ্কারিতে বড়সড় স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বক্সির ডিভিশন বেঞ্চ মানিকের করা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের রায়দান সংরক্ষিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত শনিবারই ছুটি হয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবরের আগে এই মামলার রায়দান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ততদিন পর্যন্ত মানিকের রক্ষাকবচ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদলতে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে দাবি করা হয়, টেট দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের কিংপিন এই মানিক। তাঁর হাত দিয়েই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে কেন হেফাজতে রাখা দরকার সেই যুক্তিও দিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। যদিও তদন্তের গতি নিয়ে সিবিআইয়ের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বেঞ্চের তরফে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয়, টেট তদন্তে এত দীর্ঘসূত্রিতা কেন? সিবিআই একেকটা মামলা দশকের পর দশক ধরে তদন্ত করে কেন? সূত্রের দাবি, সেই প্রশ্নের কোনও জবাব সিবিআইয়ের আইনজীবী দিতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে ধাক্কা অভিষেক-শ্যালিকার, ইডির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার মামলা খারিজ]
এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে চূড়ান্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। পুজোর ছুটির পর এই মামলার রায় প্রকাশিত হবে। ততদিন পর্যন্ত মানিকের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সিবিআই তদন্তে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি। মানিককে তদন্তে সহযোগিতা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তদন্তে সহযোগিতা করলে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদেরও গ্রেপ্তার করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ-হাওড়ায় আরও ৫ নতুন লোকাল ট্রেন, আগামী মাস থেকে বদলাচ্ছে রেলের সময়সূচি]
মঙ্গলবারই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মানিককে আদালত নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। সিবিআইকে তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করার কথাও বলা হয়। তিনি যদি সহযোগিতা না করেন, প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর বিরুদ্ধে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রক্ষাকবচ পেয়ে যান তিনি। সেই রক্ষাকবচ পুজো পর্যন্ত বহাল রইল।