সোহম দে: করোনার জেরে স্তব্ধ ফুটবল। বাকি ফুটবল ভক্তদের মতো তাঁর জীবনেও শূন্যতা। কিন্তু তিনি আর্মান্দো কোলাসো (Armando Colaco), জাতীয় লিগের সফলতম কোচ (দু’বার এনএফএল ও তিনটে আই লিগ) চুপচাপ আর হাত গুটিয়ে বসে থাকেন কী ভাবে? গোয়ায় কোলাসোকে ফোন করে জানা গেল, প্রতিদিন তিনি চার-পাঁচ ঘন্টা অনলাইন কোচিং করাচ্ছেন ফুটবল শিষ্যদের।
“আমি সেশা অ্যাকাডেমির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা বলছি। অনলাইন হোক বা মোবাইল ফোনের মারফত সবাইকে শুধু একটা কথাই বলছি যাতে তারা প্রতিদিন অন্তত দু’তিন ঘণ্টা সময় বের করে এক্সারসাইজ করে। বাড়ির মধ্যেই স্কিপিং, হাল্কা ওয়ার্ম আপ করতে বলেছি। এমন অনেক ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ আছে যা বাড়িতে বসে করতে পারবে। তালিকাও করে দিয়েছি,”‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে ফোনে সোমবার বলছিলেন কোলাসো। সঙ্গে যোগ করলেন, “সঙ্গে বলেছি ফুটবল নিয়ে একটু জাগলিং করুক। আসলে এই সময় ফিট থাকা খুব জরুরি। তা ছাড়া এক্সারসাইজের মধ্যে থাকলে খারাপ সময়টা ওরা ভুলেও থাকতে পারবে।’’
আরও পড়ুন:
গোটা দেশবাসীর মতো বাকিদের মতো কোলাসোও গৃহবন্দি। কিন্তু তবু বিশেষ অনুমতি নিয়ে অ্যাকাডেমির ছেলেদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। বললেন, “ই-পাস করিয়েছি যাতে অ্যাকাডেমির ছেলেদের সঙ্গে দেখা করা যায়।” করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিতেছে গোয়া। আপাতত যে রাজ্য করোনা মুক্ত। যা নিয়ে কোলাসো বললেন, “তবু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি আমরা। নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে স্কুটারে কেউ বেরোলে মাথায় হেলমেট আর মুখে মাস্ক পরতে হবে। গাড়িতেও ড্রাইভার সমেত আরও একজনকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকটা দোকান খোলা হয়েছে।” আর তাঁর নিজের লকডাউন রুটিন কী? হাসতে হাসতে কোলাসো বললেন,”এক্সারসাইজ করেই গোটা দিন কেটে যাচ্ছে। কী করব আর?”
[আরও পড়ুন: লকডাউনে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে রক্তের আবেদন, প্রাণ বাঁচল থ্যালাসেমিয়া রোগীর]
তবে শুধুমাত্র অনলাইন কোচিং নয়। পাশাপাশি আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান নিয়েও বললেন কোলাসো। বললেন, “মোহনবাগানের কোচ, ফুটবলার ও কর্তাদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রতিটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। যোগ্য দল হিসাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খুব সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়েছে ভিকুনার দল।” নিজের প্রাক্তন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের জন্যও বিশেষ বার্তা দিলেন কোলাসো। বললেন, “ইস্টবেঙ্গলে কাটানো সময় কোনওদিন ভুলব না। জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা ছিল। সমর্থকরা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে।”
The post ‘দাপট দেখিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান’, শুভেচ্ছা প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচের appeared first on Sangbad Pratidin.