দুলাল দে: সবকিছু ঠিক থাকলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হয়ে যেতে পারেন দুই প্রধানে খেলে যাওয়া প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। বুধবার দিল্লিতে সব রাজ্য সংস্থাগুলির বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসাবে কল্যাণের নামে সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। কল্যাণ প্রাক্তন ফুটবলার হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির (BJP) সক্রিয় নেতা। যে কারণে কেন্দ্রের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে। আর সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ।
বুধবার দিল্লির বৈঠকে ফেডারেশনের সভাপতি পদে কল্যাণের মনোনয়নকে সমর্থন করেছে প্রায় সব রাজ্য সংস্থাই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফেডারেশনের নির্বাচনের মনোনয়নপর্ব। নির্বাচন হওয়ার কথা ২ সেপ্টেম্বর। তবে সব ঠিক থাকলে নির্বাচনের আগেই রাজ্য সংস্থাগুলি ঠিক করে ফেলতে পারে কারা AIFF-এর প্যানেলে আসছেন। কল্যাণ চৌবের নামের পাশে কেন্দ্রের সমর্থন রয়েছে। সুতরাং, নির্বাচনে গেলেও তিনিই অ্যাডভান্টেজ পাবেন, সেটা বলে দেওয়াই যায়।
[আরও পড়ুন: ভারতে হামলার জন্য ৩০ হাজার টাকা! সেনার জালে পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গি]
গতকাল দিল্লিতে রাজ্য সংস্থাগুলির বৈঠকে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসাবে কল্যাণের নামে সিলমোহর পড়লেও, সহ-সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থীর নামের ক্ষেত্রে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সহ-সভাপতি পদে এন এ হ্যারিস এবং ফাল্গুনার জোর লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত ধ্বনিভোটও করতে হয়। ধ্বনিভোটে জয়ী হয়ে প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন এনএ হ্যারিস (NA Harris)। কোষাধ্যক্ষ পদেও জোর লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত কল্যাণের প্যানেলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে অজয় কিপা-কে। আপাতত এই তিনটি নাম ঠিক হয়েছে। তবে তাঁর কার্যকরী কমিটিতে কারা আসবেন সেটা এখনও ঠিক হয়নি। সেজন্য বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসবে রাজ্য সংস্থাগুলি।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে জিপ-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, তিন শিশু-সহ নিহত ৯]
এদিকে ফিফার (FIFA) নিয়ম মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় নির্বাসন উঠে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ফেডারেশন। ইতিমধ্যেই এআইএফএফের কার্যকরী সাধারণ সচিব সুনন্দ ধর ফিফাকে চিঠি লিখে নির্বাসন তোলার আর্জি জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসক প্যানেল নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ আর নেই ভারতীয় ফুটবলে। নির্বাচনও হচ্ছে ফিফার নিয়ম মেনে। তাই ফেডারেশন কর্তারা আশাবাদী, দ্রুত নির্বাসন উঠে যাবে।