সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের (Pramod Sawant) পদত্যাগের দাবিতে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। অবিলম্বে সাওয়ান্তের ইস্তফার দাবিতে গোয়ার রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে থাকবেন সৌগত রায়, বাবুল সুপ্রিয়দের (Babul Supriyo) মতো নেতারাও। থাকছেন সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালারিও। গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগেও সরব হবেন তৃণমূল নেতারা।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের (Pramod Sawant) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগটি এনেছেন সেরাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satyapal Malik)। তাঁর দাবি, গোয়া সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি কাজেই দুর্নীতির ছাপ রয়েছে। এর প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে গোয়ার রাজ্যপাল পদ থেকে সরিয়ে মেঘালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সত্যমাল মালিকের দাবি, লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাঠ বন্ধের নেপথ্যের কারণও দুর্নীতি। বেসরকারি সংস্থার চাপেই সেসময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন বিলির পরিকল্পনা করেছিল গোয়া সরকার।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! কাশ্মীরিদের মন জিততে সভামঞ্চের বুলেটপ্রুফ কাচ সরিয়ে দিলেন অমিত শাহ]
নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে সত্যপাল মালিকের এই অভিযোগ একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আছড়ে পড়েছে গোয়ার রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রীতিমতো সুর চড়াচ্ছে সেরাজ্যের রাজনীতিতে সদ্য পা রাখা তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের সাফ দাবি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে পদত্যাগ করতে হবে। শুধু তাই নয়, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে পুরো ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এই দাবিতে আজ গোয়ার বর্তমান রাজ্যপাল শ্রীধরণ পিল্লাইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। সৌগত রায় (Sougata Roy), বাবুল সুপ্রিয়, লুইজিনহো ফ্যালারিওর মতো হেভিওয়েটরা সেই প্রতিনিধিদলে থাকবেন। যদিও, বিজেপির (BJP) তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
[আরও পড়ুন: জওয়ানদের পাশে থাকার বার্তা, পুলওয়ামা হামলার সেই ঘটনাস্থলে রাত কাটালেন অমিত শাহ]
এদিকে, গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারে লাগাতার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালেও তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নামের ব্যানার এবং ফ্লেক্স ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এভাবে মমতার পোস্টার ভাঙার জন্য বিজেপিকে কাপুরুষ আখ্যা দিয়েছেন ডেরেক। তিনি এও জানিয়েছেন, এভাবে ব্যানার ছেঁড়ায় আসলে ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় ভেন্ডরদেরই। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী এই ব্যানারগুলি ভাঙা হলে তার দায় ভেন্ডারদেরই।