সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে নিজের গুরুত্ব জানান দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ২০১১-য় তো সিরিজ সেরার খেতাব জিতেছিলেন বিশ্বজয়ী দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। ২০১৯-এও একইভাবে দলের জন্য নিজের সেরাটা উজার করে দিতে চেয়েছিলেন যুবি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকদের ‘রাজনীতি’র শিকার হওয়ায় দলে সুযোগ পাননি তিনি। বিশ্বকাপের কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার।
[আরও পড়ুন: ভারতে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের তালিকায় মোদির পরেই নাম ধোনির]
মারণরোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন বাইশ গজের বাইরে থাকতে হয়েছে যুবিকে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে ভর করে দলে কামব্যাক করেছিলেন তিনি। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের আগে যুবিকে বলা হয়েছিল, ইয়ো-ইয়ো টেস্টে উত্তীর্ণ হলে, তবেই নির্বাচনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন তিনি।
যুবি জানান, ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পাশ করার পরেও তাঁর সঙ্গে দ্বিচারিতা করেন নির্বাচকরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করতে হবে। যুবরাজের কথায়, “আমি চোট পেয়েছিলাম। তার মধ্যেই বলা হল শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে। তারপরই হঠাৎ ইয়ো-ইয়ো টেস্টের কথা জানানো হল। আমার বাছাই নিয়ে একেবার ডিগবাজি খেলেন নির্বাচকরা। আমায় সঙ্গে সঙ্গে ফিরে গিয়ে ৩৬ বছর বয়সে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। সেখানে উত্তীর্ণ হলেও আমায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বলা হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট পাশে দাঁড়ালে হয়তো আর একটা বিশ্বকাপ খেলতে পারতাম।” অর্থাৎ নাম না করে অধিনায়ক কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীকেও একহাত নেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কোন সিরিজ খেলবেন আপনি নিজে বাছতে পারেন না’, ধোনিকে একহাত নিলেন গম্ভীর]
২০১৯ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার অংশ না হতে পারার আক্ষেপ যুবির গলায়। পাঞ্জাব দা পুত্তর বলছেন, “আসলে ওরা ভেবেছিল, এই বয়সে আমি টেস্টটায় পাশই করতে পারব না। তাই উত্তীর্ণ না হলে আমায় অনায়াসে বাদ দেওয়া যেত। এককথায়, টেস্টটা আমায় ছেঁটে ফেলার একটা ছুতো ছিল মাত্র।” বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার হতাশা আর আক্ষেপ নিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন যুবি।