ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়। মল্লিকবাজার চত্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিকেলে তাঁর মরদেহ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই বামনেতা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরপর দু’বার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল বেলেঘাটার প্রাক্তন বিধায়কের। এরপর থেকে মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাঁর। মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল বামনেতার। সেখানে এদিন দুপুরে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
[আরও পড়ুন: রাতভর বোমাবাজি, সাতসকালে গড়িয়ার রাস্তায় তাজা বোমা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী]
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মানববাবু। সেইসময় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ভেন্টিলেশনেও ছিলেন তিনি। মাস দেড়েক চিকিৎসার পর মৃত্যুকে হারিয়ে বাড়ি ফেরেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এই যাত্রায় আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।
বাম ছাত্র ও যুব আন্দোলনের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ মানব মুখোপাধ্যায়ের। তৃণমূলস্তরে রাজনীতি করেছেন সারাজীবন। সুবক্তা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ভরতি হয়েছিলেন। কিন্তু বাম রাজনীতির টানে পড়াশোনা আর শেষ করা হয়নি। হোল টাইমার হিসেবে বাম রাজনীতিতে যোগ দেন।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী না করায় অভিমানী রুপানি, দলের প্রচার এড়িয়ে যাচ্ছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী]
১৯৯১ সালে প্রথববার দলের টিকিটে বেলেঘাটা থেকে বিধায়ক পদের জন্য ভোটে লড়াই মানববাবু। টানা ২০ বছর বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১১ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি দল। সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয়তা কমেছিল সুবক্তা মানববাবুর। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার মন্ত্রিসভার সদস্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভায় তথ্য প্রযুক্তি দপ্তর সামলেছেন তিনি। মন্ত্রী থাকাকালীন চশমা বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন এই বাম নেতা।