নয়াদিল্লি: ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তারকা ফুটবলার আশুতোষ মেহতাকে (Ashutosh Mehta) দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (নাডা) (NADA)। ১৪ সেপ্টেম্বরের এক নির্দেশে নাডার তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ মরফিনের উপস্থিতির প্রমাণ মেলার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নাডার তরফে। চলতি বছরের ২৪ জুন থেকে তাঁর নির্বাসন ধরা হবে বলে জানিয়েছে নাডা। জাতীয় দলের পাশাপাশি মোহনবাগান, মুম্বই এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, আইজল এফসির মতো ক্লাবে খেলেছেন আশুতোষ। মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও আইজলের জার্সিতে জিতেছেন আই লিগও।
নাডা সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আইএসএলের (ISL) ম্যাচ চলাকালীন গোয়ায় আশুতোষের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেসময় মোহনবাগানের হয়ে খেলতেন আশুতোষ। মোহনবাগান সেদিন হায়দরাবাদ এফসির মুখোমুখি হলেও মাঠে নামেননি তিনি। সেই নমুনায় নিষিদ্ধ মরফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পর অবসর নয়, পর্তুগালের জার্সিতে ২০২৪ ইউরো খেলতে চান রোনাল্ডো]
তদন্তকারীদের কাছে আশুতোষ দাবি করেন, শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য এক সতীর্থের দেওয়া ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন সেটি কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধ। যদিও ডোপ পরীক্ষায় ওই সতীর্থের শরীরে কোনও নিষিদ্ধ সামগ্রীর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরই নাডা আশুতোষকে দোষী সাব্যস্ত করে। নাডার আইন অনুযায়ী, মরফিন সংক্রান্ত ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ডোপিং অ্যাপিল প্যানেলের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে আশুতোষের সামনে।
মোহনবাগান-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রথম সারির ক্লাবের হয়ে আইএসএল এবং আই লিগ মিলিয়ে দুশোর বেশি ম্যাচ খেলেছেন আশুতোষ। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ওমানের বিরুদ্ধে অভিষেকের পর অবশ্য জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে।