সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপরিবারে ছুটি কাটাতে ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিরাটকে ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী৷ সেই রণতরীতে করে পরিবারকে নিয়ে লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ দিল্লির জনসভা থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অভিযোগ করার পরেই, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা৷ মোদির পক্ষ-বিপক্ষ সমর্থনে ময়দানে নেমেছে বিজেপি-কংগ্রেস নেতারা৷ এমত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল এল রামদাস। তিনি জানালেন, গান্ধী পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোনও যুদ্ধজাহাজ পাঠায়নি নৌসেনা।
[ আরও পড়ুন: কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, খতম আইএস কমান্ডার]
একটি প্রেস বিবৃতিতে অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল এল রামদাস জানান, “গান্ধী পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোনও যুদ্ধজাহাজ বিশেষভাবে পাঠানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য কাভারাত্তি এলাকায় একটি ছোট হেলিকপ্টার রাখা হয়েছিল।” এই বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, আইএনএস বিরাটের তৎকালীন ক্যাপ্টেন এবং কম্যান্ডিং অফিসার অ্যাডমিরাল পসরিচা, আইএনএস বিরাটের সঙ্গী আইএনএস বিন্ধগিরির দায়িত্বে থাকা অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশ এবং আইএনএস গঙ্গার কম্যান্ডিং অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল মদনজিৎ সিংয়ের বক্তব্য। প্রেস বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ছুটি কাটাতে নয়, ১৯৮৭-এর ডিসেম্বর মাসে আইএনএস বিরাটে চড়ে লাক্ষাদ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী৷
[ আরও পড়ুন: ফণীতে বিধ্বস্ত ওড়িশা, আগের ও পরের ছবি প্রকাশ নাসার ]
কেবল মুখে বলাই নয়, তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দেওয়ার জন্য ছবি রয়েছে বলেও দাবি করেন অ্যাডমিরাল এল রামদাস। তিনি জানান, লাক্ষাদ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলিকপ্টারে চড়ে বিভিন্ন দ্বীপ ঘুরতে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী৷ প্রাক্তন নৌসেনা প্রধানের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই, তাকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা৷ তিনি জানান, আসল ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই ভাষণ দিয়েছেন৷
The post ছুটি কাটাতে রণতরী ব্যবহার করেননি রাজীব গান্ধী, দাবি প্রাক্তন নৌসেনা প্রধানের appeared first on Sangbad Pratidin.