গোবিন্দ রায়: নবম-দশম শ্রেণির বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসির (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে সম্পত্তির হিসেব দিতেই হবে আদালতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ উপদেষ্টার আবেদন খারিজ করে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল।
সম্প্রতি নবম ও দশম শ্রেণির গণিতের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আব্দুল গণি আনসারি-সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, মেধা তালিকায় যাঁরা কোনও জায়গা পাননি, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। মেধা তালিকায় অনেক পিছনে থাকা পরীক্ষার্থীরাও নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন বলে দাবি ওই চাকরিপ্রার্থীদের। বেনিয়ম নজরে আসে হাই কোর্টেরও।
[আরও পড়ুন: হিজাব পরায় ঢুকতে বাধা! ভারতীয় রেস্তরাঁ ‘বন্ধ’ করল বাহরিন]
দিন তিনেক আগে এই সংক্রান্ত মামলায় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক ড: শান্তিপ্রসাদ সিনহার যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব তলব করেছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ উপদেষ্টা সিনহার আবেদন খারিজ করে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল।
প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের স্বার্থে গঠন করা হয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার হাই কোর্টে ওই অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করার ছিল। কিন্তু এদিন কমিটির তরফে কেউ যাননি বলেই খবর। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলার তদন্তের ভার ফের দেওয়া হয় সিবিআইকেই।