shono
Advertisement

হোয়াইট হাউসের গদি পুনর্দখলের লক্ষ্যে ট্রাম্প, লড়তে পারেন ২০২৪’-এর নির্বাচনে

উড়িয়ে দিলেন তৃতীয় দল গড়ার সম্ভাবনা।
Posted: 02:39 PM Mar 02, 2021Updated: 02:39 PM Mar 02, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল তাঁর নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাক্তন’ প্রেসিডেন্টদের তালিকায় চলে গিয়েছে। অথচ এখনও ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির দাবিতে অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গত রবিবার কনজারভেটিভ পার্টির জমায়েতেও সেই এক দাবি তুললেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করলেন। এবং ফের ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারেন তিনি।

Advertisement

ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় কনজার্ভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেছেন, “আপনাদের সাহায্যে আমরা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ পুনর্দখল করব। সেনেটও আমাদের দখলে চলে আসবে। তারপরে ২০২৪ সালে একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউসে বিজয়ী প্রত্যাবর্তন হবে। কে হতে পারে সেই প্রেসিডেন্ট?” বলে তাঁর সহাস্য সংযোজন, “কে, কে, কে, কে হবে সেই প্রেসিডেন্ট? ভাবছি আমি।”

[আরও পড়ুন : দুর্নীতির অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির]

ইমপিচমেন্ট মামলায় যেসব রিপাবলিকান তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। মিট রমনি, লিজ চেনি, প্যাট টুমি-সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হুংকার দিয়েছেন, “সবাইকে তাড়াও!” ট্রাম্প নিয়ে রিপাবলিকান পার্টিতে ফাটল দেখা দিলেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলে দিয়েছেন, তৃতীয় দল গড়ার পরিকল্পনা নেই তাঁর। হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় যদিও তিনি তেমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর বাইডেন? উত্তরসূরির সীমান্ত নীতি নিয়ে ট্রাম্পের বক্রোক্তি, “হোয়াইট হাউস ওদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্প অবশ্য এটাও বলেছেন, “কে জানে, ওদের তৃতীয়বার হারানোর সিদ্ধান্ত নিতেই পারি।”

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে লাগাতার ডেমোক্র্যাট শিবিরকে আক্রমণ করে গিয়েছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। জালিয়াতি করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। আর তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য নিজের সমর্থকদের উসকানিও দিয়েছেন বলে বিরোধীদের দাবি। তবে ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর দ্বিতীয়বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হওয়ার কিছুটা থমকে গিয়েছিলেন তিনি। তাই পেশীশক্তি নয়, রাজনীতিকেই হাতিয়ার করতে চলেছেন তিনি। মার্কিন রাজনীতির গতিপথ সাধারণত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক এই দুই দলই নির্ণয় করে। অতীতে তৃতীয় পার্টি থাকলেও তা রাজনীতির ময়দানে খুব একটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু নিজের উগ্র ‘শ্বেতাঙ্গ প্রথম’ রাজনীতির জোরে ট্রাম্প দল গড়লে মার্কিন রাজনীতিতে এক নউটন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। তবে সেই সম্ভবনা আপাতত নস্যাৎ হল মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন : ‘ভারত ও পাকিস্তানকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই’, শান্তির বার্তা মালালার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement