রমেন দাস: তিনি নাকি স্বৈরাচারী! যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্র পেটাতে’ রাতের অন্ধকারে পুলিশ ডেকেছিলেন! গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ পেয়েও মাটির মূর্তি হয়ে বসেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. অভিজিৎ চক্রবর্তী! তাঁর আমলেই সংঘটিত হয়েছিল ‘হোক কলরব’-এর মতো আন্দোলন। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। প্রায় ১০ বছর পর সেই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের একবার খবরের শিরোনামে। এবার আর শ্লীলতাহানির অভিযোগ নয়, বরং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং এবং ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন উপাচার্য।
ড. অভিজিৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “মাঝেমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসে। সেখানে কাউকে একটা ধরে পণবন্দী করে দেওয়া হয়। তারপর চলে নিগ্রহ। ওখানে যারা নির্যাতিত হয়, তাঁদেরই প্রমাণ করতে হয় অপরাধ হয়েছে।” এখানেই থামেননি তিনি। ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন প্রাক্তন উপাচার্য। তাঁর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকেছিল। কিন্তু ছাত্রমৃত্য়ুর পর ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাধা দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে অভিজিৎবাবু বলছেন, “কেন পুলিশ ঢুকতে পারবে না? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি ভারতের বাইরে?”
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স]
সরব হয়েছেন ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়েও। তাঁর আমলে ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে কড়া নিয়ম চালু হয়েছিল। বেশকিছু জায়গায় সিসিটিভিও বসানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ড. অভিজিৎ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “হস্টেলে, করিডোর বা ক্যাম্পাসে সিসিটিভি থাকলে র্যাগাররা সাহস পেত না। কার্নিস দিয়ে হাঁটাতে পারত না। সবটা রেকর্ড হত সিসিটিভিতে।” পরিশেষে অভিজিৎবাবুর সংযোজন, “ওঁরা সবাই অপরাধী। সবক’টা অপরাধী।”