গোবিন্দ রায়: জমি জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ কলকাতা হাই কোর্টের। শহরের ৮টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। অবিলম্বে ওই বেআইনি নির্মাণগুলিতে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া বেআইনিভাবে নির্মিত সম্পত্তিতে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদেরও উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এনিমি প্রপার্টি এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাতে কেশবচন্দ্র স্ট্রিটের ৬টি, রাজা রাজনারায়ণ স্ট্রিটের ১টি, গিরিশ বিদ্যারত্ন লেনের ১টি সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়। হাই কোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ওই টাস্কফোর্স কতগুলি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখে। কতজন বাসিন্দা রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখে টাস্কফোর্স। শুক্রবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
এদিনের শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ৮টি নির্মাণ ভেঙে দিতে হবে। পানীয় জলের পরিষেবা এবং সিইএসসির বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। উচ্ছেদে কোনও সমস্যা হলে পুলিশ তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। উচ্ছেদের পর ওই সম্পত্তি অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ উপযুক্তভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা কলকাতা পুরসভা, পুলিশ এবং সিইএসসিকে নজরদারি চালাবে। আদালতের এই নির্দেশ বাস্তবায়িত হল কিনা, সে সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে। তবে ইতিমধ্যে ১৭০ নম্বর কেশবচন্দ্র স্ট্রিটের এক বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত সম্পত্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। তাই এই সম্পত্তি ভাঙা হবে কিনা, তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উপর নির্ভর করবে।