ধীমান রক্ষিত ও বিধান নস্কর: ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ফের অভিনব বিক্ষোভ 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। শুক্রবার সকালে মাথা মুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হল। বেশ কয়েক দিন ধরেই কলকাতার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান করছেন এসএলএসটি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ২০১৬ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ নামে একটি মঞ্চ করে পথে নেমেছেন তাঁরা। পরে সল্টলেকের বিকাশ ভবন অভিযান 'যোগ্য" শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
আন্দোলনকারীদের দাবি, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ২০১৬ সালের এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার দীর্ঘ শুনানির পরে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী সাত জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার ফের শুনানি আছে। তার আগে নতুন করে আন্দোলনে নামছেন বিক্ষোভকারীরা।
তাঁদের অভিযোগ, ২৬ হাজারের মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যোগ্যদের চাকরিও হারানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সাত বছর ধরে চাকরি করার পর এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা। সে কারণেই বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বেশ অবস্থান, আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিন এক শিক্ষক প্রতিবাদে মাথা মুণ্ডন করেন রাস্তাতেই। প্যানেল বাতিলের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের ডাকে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাকও দেওয়া হয়। করুণাময়ী থেকে শুরু হয় মিছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুদক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা করে দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্যানেল বাঁচানোর স্বার্থে এসএসসিকে সমস্ত রকম তথ্য সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। বৈধ এবং অবৈধ বাছাই করতে হবে। এদিনে বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে উত্তেজনার পারদ অনেকটাই বাড়ে।
পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটকানোর জন্য রাস্তায় ব্যারিকেড করে রেখেছিল। প্রচুর পুলিশও মোতায়েন ছিল সল্টলেক এলাকায়। বিকাশ ভবনের অনেক আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।