রাহুল রায়: কোথায় মানিক ভট্টাচার্য? জানে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। যাদবপুরের ফ্ল্যাট, নদিয়ার বাড়িতে হদিশ নেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির। এবার কী করবে ইডি। সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে ইডির আধিকারিকরা। ইডির আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা সারছেন তাঁরা। শোনা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে ইডি। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তারা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Primary TET Scam) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন সভাপতির। সেই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অভিযোগ, মাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন মাণিক। যাদবপুরের বাড়ি, ফ্ল্যাটে দেখা মেলেনি তাঁর। এমনকী, নদিয়ার পলাশি পাড়ার পৈতৃক বাড়িতেও নেই তিনি। গত একমাস ধরে তালা ঝুলছে সেই বাড়িতে। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্য যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন তাতেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ঠিক করতেই আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে ইডি কর্তারা। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করতে পারে ইডি।
[আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি কেন? গুজরাট সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, এর আগে দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাঁর নয়, তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং মেয়ের (বিবাহ পর্যন্ত) সম্পত্তির হিসাবও হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর একাধিকবার ইডি তাঁকে তলব করেছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই-ইডি। বুধবার নিউটাউন থেকে এসএসসি নিয়োগে মধ্যস্থতাকারী প্রদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তিনি আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে খবর। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে তাঁর অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। গতকাল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে CBI। সিল করেছে বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটও। এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় এসেছেন সুবীরেশ। সূত্রের খবর, সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পেগাসাস তদন্তে সহযোগিতা করেনি কেন্দ্র! দাবি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে, ৫ ফোনে মিলল ম্যালওয়ার]
কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর দুর্নীতি প্রসঙ্গে সুবীরেশ সাফ জানিয়ে দেন, আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি। ওরা কী পেয়েছে, ওদের জিজ্ঞেস করুন। তবে ফ্ল্যাট সিল বা সিবিআই হাজিরা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি।