সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা পয়েন্ট জিতছিল প্রতিপক্ষ। টুর্নামেন্টের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছিলেন না। এমন অবস্থায় প্যানিক অ্য়াটাকের শিকার হলেন প্রাক্তন বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড় সিমোনা হালেপ। এতটাই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি যে টেনিস কোর্টে ডাক্তার ডাকতে হয়। ফরাসি ওপেনের (French Open) দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সিমোনা হালেপের অসুস্থতা নিয়ে জোর চর্চা। শেষ পর্যন্ত শোচনীয় ভাবে ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিলেন হালেপ।
ম্যাচের প্রথম সেট দাপটের সঙ্গে ৬-২ ফলে জিতে যান হালেপ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে দুরন্ত কামব্যাক করেন চিনা খেলোয়াড় ঝেং কুইনওয়েন। বারোটির মধ্যে টানা এগারোটি পয়েন্ট জিতে চাপে ফেলে দেন হালেপকে (Simona Halep)। তাতেই বিপত্তি ঘটে। জিততে পারবেন না, এই আশঙ্কা দেখা দেয় হালেপের মনে। অত্যাধিক মানসিক চাপের ফলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোর্টে ডাক্তার ডাকতে হয়। কিন্তু তাতেও পুরোদস্তুর সুস্থ হতে পারেননি হালেপ। শেষ পর্যন্ত ২-৬, ৬-২, ৬-১ ফলে ১৯ বছর বয়সি ঝেংয়ের কাছে হেরে যান তিনি।
[আরও পড়ুন:১৬-০! ইন্দোনেশিয়াকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ হকির নকআউটে ভারত]
ম্যাচের পরে হালেপ জানিয়েছেন, আগে কোনওদিন এই সমস্যায় পড়েননি তিনি। “আমি নিজের উপর খুব বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। খুব ভাল পারফরম্যান্স করতে চাইছিলাম”, বলেছেন সিমোনা। প্রচণ্ড পরিশ্রম করার পরেও ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স মনমতো হয়নি। সেই কারণেই নিজের উপরে বিরক্ত হন হালেপ। অত্যাধিক চিন্তা করতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনেন। প্যানিক অ্য়াটাকে আক্রান্ত হন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হালেপ।
অন্যদিকে, করোনা (COVID-19) থাবা বসিয়েছে এবারের টুর্নামেন্টে। ২০২১ সালে মহিলাদের সিঙ্গলস এবং ডাবলস দুই বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বারবোরা ক্রেজিকোভা। কিন্তু ডাবলস ম্যাচের আগেই জানান, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল তাঁকে। যদিও সিঙ্গলস বিভাগে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি।