সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে খুনে (Palghar Lynching Case)অভিযুক্তদের ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করল থানের আদালত। ওই চারজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। এপ্রিলের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই প্রথম তাদের মধ্যে ৪ জন জামিন পেলেন। মঙ্গলবার থানের জেলা আদালতে তাদের পেশ করা হলে বিচারক পিপি যাদব ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে জামিন (Bail) মঞ্জুর করেন। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে একাংশের জামিনের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর।
চলতি বছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে গুজরাট যাওয়ার সময় দুই সাধুর উপর হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। তাঁদের ‘শিশুচোর’ অপবাদ দিয়ে চলে গণপ্রহার (Lynching)। দলে দলে তাতে শামিল হন বহু মানুষ। গণপিটুনির জেরে দুই সাধু এবং তাঁদের গাড়িচালকের মৃত্যু হয়। সেই মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের সময় থেকে বাইরে বেরনো নিয়ে অশান্তি, মেজাজ হারিয়ে শাশুড়িকে খুন অন্তঃসত্ত্বার]
তুমুল নিন্দার মুখে পড়ে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার (CID) হাতে তদন্তভার তুলে দেয়। তাদের একাধিক টিম নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ধরপাকড় শুরু করে। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন নাবালকও ছিল, আর বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। থানের আদালতে একে একে তিনটে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে শুরু হয় মামলা।
[আরও পড়ুন: ভোটের দিনই নীতীশ কুমারকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পিঁয়াজ! বিরক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী]
ধৃতদের মধ্যেই ৪ জন, লক্ষ্মণ যাদব, তার দুই ছেলে নীলেশ ও মনোজ যাদব এবং তুকারাম যাদব আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার থানের জেলা আদালতে বিচারক পিপি যাদবের এজলাসে শুনানি ছিল। তাতে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারক। ধৃতদের মধ্যে আরও ৬২ জনও জামিনের আবেদন করেছেন। তাদের মামলার শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর, একই এজলাসে।