সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা কাণ্ডের তদন্তে ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাজির কলকাতা, পুরুলিয়ার বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি, তাঁর ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের বাড়িতেও চলছে ইডির তল্লাশি। সূত্রের খবর, চারটি দলে ভাগ হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
অনুপ মাজি ওরফে লালা। কয়লা কেলেঙ্কারির (Coal scam) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের (CBI) শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরই। কিন্তু শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচ থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি এখনও। অথচ তাকে নাগালে পেয়ে গোটা কেলেঙ্কারির জাল গোটাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আগেও একাধিকবার তাঁর বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চলেছে। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এই অসাধু চক্রের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তারও হদিশ পেয়েছেন ইডি, সিবিআই আধিকারিকরা। সেভাবেই সূত্র মিলেছিল গণেশ বাগাড়িয়ার। লেকটাউনের এই ব্যবসায়ীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন চলত অনুপ মাজির। আগেও গণেশে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছিলেন আধিকারিকরা। একাধিকবার তাকে জেরাও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড: পুলিশের জালে আরও ২, ধৃত দেবাঞ্জনের খুড়তুতো ভাই ও স্বাস্থ্যকর্মী]
মাঝে কিছুদিন তদন্তের গতি শ্লথ হওয়ার ফের তা ত্বরান্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার ইডির ৩০ জন আধিকারিক চারটি দলে ভাগ হয়ে ফের কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি শুরু করেছেন। পুরুলিয়ার(Purulia) নিতুড়িয়া এবং ফুলবাগানে অনুপ মাজি ওরফে লালার বাড়িতে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, গণেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের (Lake Town) ফ্ল্যাটেও অভিযান চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির কলকাতার আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লির আধিকারিকরাও রয়েছেন। সম্প্রতি অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে (Vinay Mishra) দেশে ফেরাতে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। আদালতে এই আশ্বাসের পর ইডি গত শনিবার বিনয়ের ছ’কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজায়াপ্ত করে। এর পরেই এই তল্লাশির সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে সূত্রের দাবি।