সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্ষমা চেয়েও মিলল না ছাড়। ম্যাচ চলাকালীন আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৪ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হলেন মহামেডান অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তবে, প্রত্যাশার তুলনায় শাকিবের শাস্তি অনেকটা কম বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুক্রবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে খেলা চলাকালীন অবাক কাণ্ড করে বসেন শাকিব। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে রাগে ক্ষোভে উইকেটে লাথি মেরে ভেঙে দেন তিনি। যার জেরেই ঢাকা প্রিমিয়াল লিগের (Dhaka Premier League) পরবর্তী চার ম্যাচে খেলতে পারবেন না মহামেডান অধিনায়ক।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়াল লিগের (DPL) ম্যাচে। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে আবহনী ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলছিলেন শাকিব (Shakib Al Hasan)। সেখানেই নিজের ডেলিভারির পর আউটের আবেদন করলে আম্পায়ার তা খারিজ করে দেন। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। তাও একবার নয়, দু’বার। প্রথমে তাঁকে দেখা যায়, লাথি পেরে উইকেট ভেঙে দিতে। এরপরই আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। এগিয়ে আসেন অন্যরা। খানিক পরই বৃষ্টি আসতে দেখে পিচ ঢাকার জন্য কভার নিয়ে গ্রাউন্ড স্টাফদের আসতে বলেন আম্পায়ার। তাতেও মেজাজ হারান শাকিব। হাতে করে স্টাম্প তুলে ফেলে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। আম্পায়ারের সঙ্গে এমন আচরণের জেরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ নিজের কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্র করে ভিলেন বানানো হচ্ছে ওকে’, শাকিবের মেজাজ হারানোর বিতর্কে পাশে স্ত্রী]
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি ভবিষ্যতে এমন ভুল করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে শাকিব বলেন, ‘প্রিয় ভক্ত এবং সমর্থকরা, মাঠে মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমার এমনটা করা উচিত হয়নি। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুর্ভাগ্যবশত সবকিছুর বিরুদ্ধে গিয়ে এটা হয়ে থাকে। দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজক কমিটির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর হবে না। সবাইকে ধন্যবাদ এবং ভালবাসা। কিন্তু ক্ষমা চেয়েও লাভ হয়নি। এই বিতর্কিত কাণ্ড কারখানার জন্য শাকিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (CCDM) ভারচুয়ালি শুনানির আয়োজন করে। তারপরই তাঁর শাস্তির কথা জনিয়ে দেওয়া হয়।