সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ লাইক কিং সাইজ। অর্থাৎ জীবনে যাই ঘটুক না কেন সবসময় মজা-আনন্দে মেতে থাকতে হবে। বরাবর এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেছেন ক্রিস গেইল। পার্টি, উদযাপন, কার্নিভাল- এইসব নিয়েই মেতে থাকেন ইউনিভার্স বস। সেই উদ্দাম সেলিব্রেশনের ঝলক মিলেছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও। সেসব দেখে আবার ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মত, গেইলের ইনস্টা স্টোরির দিকে নাকি তাকানোই উচিত না।
৪৫ বছর বয়স হলেও ক্রিকেটকে বিদায় জানাননি গেইল। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারেই দেখা যায় না ইউনিভার্স বসকে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ময়দানে আর নামবেন না, সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগ্রাসী ব্যাটার। কিন্তু এখনও অবসর ঘোষণা করেননি ক্যারিবিয়ান দৈত্য। নানা দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেন। আর বাকি সময়টা মেতে থাকেন পার্টিতে।
নতুন বছরের শুরুতে পার্টিতে মজে গোটা বিশ্ব। কার্নিভালে যোগ দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউনিভার্স বসও। নাচে-গানে সেন্ট কিটসের কার্নিভালে মেতে উঠেছেন তিনি। রংচঙে পোশাক, গা ভর্তি গয়নায় চোখ ধাঁধানো সাজে ধরা দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে। ভক্তদের নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তবে ক্যারিবিয় তারকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে চোখ কপালে উঠেছে ভক্তদের। সোশাল মিডিয়ায় তাঁরা লিখছেন, 'গেইলের ইনস্টা স্টোরি মোটেই দেখবেন না।'
কেন এমন দাবি তাঁদের? আসলে সেন্ট কিটসের অন্যতম আকর্ষণ হল টোয়ার্ক নাচ। গানের ছন্দে নিতম্ব দুলিয়ে নাচে মেতে ওঠেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। নাচ করতে করতে একে অপরের দেহের খুব কাছাকাছি চলে আসেন। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নিতম্ব দুলিয়ে নাচের দৃশ্যকে অনেকেই আপত্তিকর বলে মনে করেন। যদিও আফ্রিকার সংস্কৃতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িয়ে রয়েছে এই টোয়ার্ক নাচ। এখন গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় এই নাচ। যে যাই বলুক না কেন, বিতর্কিত নাচে মেতে কার্নিভালে মজে ইউনিভার্স বস।