সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনিভাবে নাবালিকার ডিম্বাণু বিক্রির অভিযোগে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দিল সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে ডিম্বাণু দানে বাধ্য করেছিল তার মা। গোটা ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহারের দায়ে ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। হাসপাতাল বন্ধ ছাড়াও আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার।
এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বেচ্ছায় আঠারো ঊর্ধ্ব মহিলারা ডিম্বাণু দান করতে পারেন। আইন অনুযায়ী বয়স হতে হয় ২১ থেকে ৩৫ বছর। এমনকী মহিলার কমপক্ষে একটি সন্তান থাকতে হবে। এই ঘটনায় জোর করে নাবালিকার ডিম্বাণু নেওয়া হয়েছে।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, “এই কাজ করতে ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে নাবালিকার বয়স ভাড়ানো হয়েছে। জানানো হয় সে বিবাহিত। এবং স্বামীর অনুমতিতেই এই কাজ করছে। যদিও সবটাই ছিল বড়সড় প্রতারণা।”
[আরও পড়ুন: মসনদে বসেই বিজেপির নীতি অনুসরণ শিণ্ডের, এক ধাক্কায় অনেকটা কমালেন পেট্রল-ডিজেলের দাম]
গোটা বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ কড়া পদক্ষেপ করে। অভিযুক্ত চারটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড সংক্রান্ত ও পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হল ৫০ লাখ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে হাসপাতালগুলির। অভিযুক্ত চিকিৎসকের ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, ভরতি চেন্নাইয়ের হাসপাতালে]
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালগুলিকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরই বন্ধ করে দিতে হবে। এর মধ্যে দু’টি হাসপাতালকে সরকারি স্বাস্থ্য বিমার আওতা থেকে ছেটে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে। বেআইনি ডিম্বাণু বিক্রির চক্রে আরও দু’টি হাসপাতাস জড়িত বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য সচিব। তার একটি অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) ও অন্যটি কেরলের (Kerala) বেসরকারি হাসপাতাল। এদের বিরুদ্ধেও কড়া পদাক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।