বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের ছক বানচাল। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে বিএসএফের জালে ৪ মহিলা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৮টি ব্রেসলেট, ৭টি বালা, ৩টি আংটি-সহ মোট ৬৯৭ গ্রাম সোনার গহনা উদ্ধার করেছে বিএসএফ। যার আনুমানিক বাজারে যার প্রায় ৩৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত চারজন মহিলার নাম আলপনা মুখোপাধ্যায়, সোনিয়া লাল, পূজা দত্ত এবং মুন্নি চৌধুরী। প্রথমজনের বাড়ি গেদে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়জনের বাড়ি কলকাতা এবং চতুর্থজনের বাড়ি রানাঘাটে। বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা নিয়েই প্রথম তিনজন বাংলাদেশে গিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে সেখানকার বাসিন্দা অমিত দেবের কাছে থেকে ওই সোনার গয়নাগুলো তারা নিয়ে আসছিল বলে খবর। বিএসএফের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, গয়নাগুলি রানাঘাটের বাসিন্দা মুন্নি চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। গয়না লেনদেনের জন্য রবিবার বিকেলে মুন্নি চৌধুরী গেদে স্টেশনে ওই তিনজনের জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই তিনজন গেদে সীমান্ত পেরিয়ে গেদে স্টেশনে ওঠার পরেই কাস্টমস চেকিংয়ের মাধ্যমে ধরা পড়ে যায় প্রথম তিনজন। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধরা পড়ে চতুর্থ মহিলাও।
[আরও পড়ুন: কারিগরি দক্ষতায় জোর দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা রাজ্যের, ১০ হাজার নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
সূত্রের খবর, বৈধ পাসপোর্ট সহ ব্যবসায়িক ভিসা তৈরি করে কাস্টমস চেকিংয়ের মধ্য দিয়েই ভারত থেকে চারটি শাড়ি বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার করতে পারেন, এমন বেশ কয়েকজন মহিলা রয়েছেন। তবে ঘন্টাখানেক বা তার সামান্য বেশ কিছু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালি হাতে তাদের ভারতে ফিরতে হবে, এটাই নিয়ম। বেআইনি কোনও পাচারকাজের সঙ্গে তারা যুক্ত থাকতে পারবেন না। কিন্তু প্রথম তিনজন মহিলা শাড়ি নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গেছিলেন। ফিরছিলেন গয়না পরে। উদ্দেশ্য ছিল গয়না লেনদেন করে আয়।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে গেদে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারলেও কাস্টমস চেকিংয়ে তারা হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। তাদের হাতে এবং আঙুলে ওই গহনাগুলি দেখে কাস্টমসের লোকজনের সন্দেহ হয়। বিএসএফ তাদের সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করে এবং পরে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলারা স্বীকার করেন, বেআইনিভাবে মূলত পাচারের উদ্দেশ্যেই তারা ওই গয়নাগুলি নিয়ে আসছিলেন।