মলয় কুণ্ডু: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র (Laxmi Bhandar) ফর্ম ফিল আপ শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। দুয়ারে সরকার শিবিরের সামনে লম্বা লাইন। এবার যাতে এই প্রকল্প নিয়ে কোনও জালিয়াতি না হয়, তা নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ফর্মপিছু ইউনিক নম্বরও চালু করেছে রাজ্য। তার পরেও বিক্ষিপ্তভাবে জালিয়াতি বা হয়রানির খবর সামনে আসছে। এবার সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হল রাজ্য। নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
এদিন নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই প্রক্রিয়ায় কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা ক্লাব এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ফর্ম ফিল আপ করার জন্য প্রয়োজনে ‘কন্যাশ্রী’ সেল্ফ হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে লাগানোর পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গোটা বিষয়টি জেলাশাসককে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী, আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে কাজে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও ফর্ম ফিল আপ করার জন্য ‘কন্যাশ্রী’দের কাজে লাগাতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিয়রে করোনার তৃতীয় ঢেউ, পুজোর পরেও কি খুলবে স্কুল? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee]
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি প্রকল্পে একাধিক ভুয়ো আবেদন জমা পড়ছে। অনেকে জাল সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এদিন এমনই অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এদিন নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানেই এই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। কারা এমন কাজ করছেন, কোথায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা পড়েছে, তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নির্দিষ্ট হেল্পলাইনে অভিযোগ আসছে যে টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি হতে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই উপভোক্তাদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, তারা যেন কোনভাবেই কারো কথায় প্রতারিত না হন। কেবলমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শিবির থেকেই ফর্ম পাওয়া যাবে, অন্য কোনও ফর্ম গৃহীত হবে না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কড়া নজর রাখার জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।