রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড-১৯ (COVID-19) এর তৃতীয় ঢেউ। আর এই মহামারীর সংক্রমণ রোখার অন্যতম কার্যকরি উপায় টিকাকরণ। তাই রাজ্যজুড়ে দ্রুত টিকাকরণ সেরে ফেলতে চাইছে সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণে তৎপর রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদপ্তর। অভিনব উদ্যোগ নিল হাওড়ায় (Howrah)।
শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকারের এই দপ্তর। হাওড়াতে টানা তিনদিন এই ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccination) কর্মসূচি চলে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের সহযোগিতায় এবং হাওড়া ফাউন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে দুই হাজারের বেশি জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ঢালাই ঘরে কর্মরত শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ করেন এরকম শ্রমিকদের জন্যই করা হয়েছিল এই টিকাকরণ কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: দলবদল উপপ্রধানের, BJP’র দখলে থাকা ঝাড়গ্রামের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল]
হাওড়া শিল্পাঞ্চলে একাধিক কলকারখানা রয়েছে। শুধু গঙ্গাপারের এই জেলাই শুধু নয়, আশপাশের একাধিক জেলা থেকে এখানে কাজ করতে আসেন বহু মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজ রাজ্য বা জেলায় গিয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ বড়ই কম। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই টিকাকরণের অস্থায়ী কেন্দ্রের আয়োজন করা হল বলেই খবর। শুধু শ্রমিকই নয়, তাঁদের পরিবারের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাওড়া ফাউন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ কুন্ডু জানিয়েছেন, “শুধু হাওড়ার বাসিন্দারাই নন, বর্ধমান, হুগলি, মেদিনীপুরের বাসিন্দারাও হাওড়াতে কাজ করেন। এরকম সমস্ত শ্রমিকদের টিকাকরণ করানো হয়েছে।” জানা গিয়েছে, হাওড়া শিল্পাঞ্চলের বেলগাছিয়া, দাসনগর বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসেছিলেন ভ্যাকসিন নিতে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন শিবির চলে। ভ্যাকসিন ক্যাম্পে রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ-সহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।