সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাহো’কে ঘিরে চড়চড়িয়ে বাড়ছে উন্মাদনার পারদ। প্রভাস-শ্রদ্ধার রোম্যান্স এবং অ্যাকশনে মজেছেন সিনে দর্শকরা। সিনেমা বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ রমরমিয়েই চলবে এই ছবি। কারণ বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েছে। দিন তিনেকের মধ্যেই দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাসের ‘সাহো’ ব্যবসা করে ফেলেছে ২৯৪ কোটির। খান-কুমাররাও এযাবৎকাল বক্স অফিসে এমন রেকর্ড হারে টাকা তুলতে ব্যর্থ। আর সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে যখন সবে চলা শুরু করেছে ‘সাহো’, ঠিক তখনই বোমা ফেললেন ফরাসি পরিচালক জেরম সালে। সালের দাবি, ‘সাহো’ নাকি তাঁরই এক ছবি থেকে হুবহু টোকা। তার জন্য একবারে চাঁচাছোলা ভাষায় একহাত নিলেন ‘সাহো’ পরিচালককে।
[আরও পড়ুন: হিমেশের সুরে ৩ নম্বর গান রেকর্ড, এবার ‘আশিকি মে তেরি’-র রিমেক গাইলেন রানু]
ছবি মুক্তি পেয়েছে এই শুক্রবার। আর তার দিন কয়েক পেরোতে না পেরোতেই বক্সঅফিসে রেকর্ড ভাঙা সাফল্যের নজির গড়েছে প্রভাসের ‘সাহো’। বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাসের জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে বাধ্য বলিউডের ‘খান’রা। কারণ, আজ পর্যন্ত বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও খানের ছবিই নাকি এত দ্রুতহারে বক্স অফিসে জড় তুলতে পারেনি। ‘সাহো’ নাকি রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে রজনীকান্তের ছবিকেও। স্বাভাববিকবশতই প্রভাসের আগের ছবি ‘বাহুবলী’র সঙ্গে তুলনা টেনে ফেলেছেন খোদ সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরাও। বাহুবলীর মতো সাফল্য কি পাবে প্রভাসের নতুন ছবি। এই মুহূর্তে অনেকেরই মনেই ঘুরছে এমন প্রশ্ন। এই ছবির কন্টেন্টে সিনে সমালোচকরা তেমনটা না মজলেও রেকর্ড হারে ব্যবসা কিন্তু করে ‘সাহো’র মুকুটে যোগ করে ফেলেছে নয়া পালক। আর এর মাঝেই ফরাসি পরিচালকের বিদ্রুপ বাণে বিদ্ধ হতে হল ছবির পরিচালককে। এই অবশ্য প্রথমবার নয়, এর আগেও বেশ কজন দক্ষিণী পরিচালকের বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ এনেছিলেন জেরম সালে।
[আরও পড়ুন: বড়পর্দার নতুন ব্যোমকেশ-অজিত জুটি, প্রথম ঝলকে নজর কাড়লেন পরম-রুদ্র]
জেরম সালের কোন ছবি থেকে ‘সাহো’ টোকা? মাথায় নিশ্চয় ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন! তাহলে বলেই ফেলি। সালের অভিযোগ, ২০০৮ সালে তাঁর তৈরি ছবি ‘লার্গো উইঞ্চ’ থেকে পুরোপুরি টোকা হয়েছে বলিউডের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাহো’। আর যার জন্যে টুইটে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছেন ‘সাহো’ পরিচালক সুজিতকে। সালে ট্যুইট লিখেছেন, “ভারতে আমার বেশ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ মনে হচ্ছে।” একই সঙ্গে পরবর্তী টুইটে তাঁর কটাক্ষ, ‘লার্গো উইঞ্চ’-এর এই দ্বিতীয় ‘ফ্রি-মেক’ প্রথমটির মতোই খারাপ। সুতরাং, তেলুগু পরিচালকগণ আমার কাজ যদি চুরি করতেই হয়, তো দয়া করে সেটাকে একটু ঠিক করে করুন। আর হ্যাঁ, আমার ভারতীয় কেরিয়ারের টুইটটি অতি হাস্যকর। দুঃখিত, এই বিষয়ে আমি নিজেকে আটকাতে পারলাম না।”
The post “চুরি করলেই যখন একটু ভাল ভাবেই করতে”, ‘সাহো’কে তীব্র ভর্ৎসনা ফরাসি পরিচালকের appeared first on Sangbad Pratidin.