shono
Advertisement

এনআরএসে ১২টি সারমেয়কে মারল কে? তদন্তে গোয়েন্দারা

চার কুকুরছানাকে মারার কথা স্বীকার করেছে ধৃত ২ নার্সিং পড়ুয়া। The post এনআরএসে ১২টি সারমেয়কে মারল কে? তদন্তে গোয়েন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:34 AM Jan 16, 2019Updated: 10:34 AM Jan 16, 2019

অর্ণব আইচ: “অতিষ্ঠ হয়ে চারটে কুকুরছানাকে পিটিয়ে আধমরা করেছিলাম। ওই অবস্থায় তাদের ফেলে এসেছিলাম সুপারের অফিসের কাছে। বুঝতে পারিনি, ওরা মরে যাবে।” গ্রেপ্তারির পর পুলিশের প্রাথমিক জেরার মুখে এই দাবি করেছেন এনআরএসের নার্সিং পড়ুয়া দুই তরুণী। ধৃতদের দাবি, তাঁরা শুধু চারটি কুকুরছানাকেই মারধর করেছিলেন। এনআরএস নার্সিং হস্টেল চত্বরে মৃত্যু হওয়া ১৬টি সারমেয় শাবকের মধ্যে বাকি ১২টির ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ধৃত দুই ছাত্রীর এহেন বক্তব্য সারমেয় রহস্যে নতুন মাত্রা জুড়েছে। ঘটনার পুনরাভিনয় করে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা হতে পারে।

Advertisement

পুলিশের প্রশ্ন, এনআরএস হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানা খুনের পিছনে ধৃত দুই নার্সিং ছাত্রী ছাড়াও কি আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছেন? এবার এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছেন এন্টালি থানার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার বিকেলে ১৬টি কুকুরছানা খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এনআরএসের দুই নার্সিং ছাত্রী সোমা বর্মন ও মৌটুসি মণ্ডল। দু’জনেই এনআরএসের জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিড ওয়াইফ কোর্সে যোগ দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা সোমা দ্বিতীয় বর্ষ ও বাঁকুড়ার বাসিন্দা মৌটুসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এদিন পশুর উপর অত্যাচার, তাদের নৃশংসভাবে মারধর ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে এন্টালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কয়েক বছর আগেই এনআরএস হস্টেলে চোর সন্দেহে বেঁধে, গণধোলাই দিয়ে খুন করা হয় কোরপান শাহকে। অভিযুক্ত ১২ জন ডাক্তারি ছাত্র ও ক্যান্টিন কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তাঁরা এখন জামিন পেয়েছেন। কোরপান শাহ হত্যাকাণ্ডে তদন্তের সময় হস্টেলের ডাক্তারি ছাত্রদের পরপর জেরা করে আসল অভিযুক্তদের হদিশ মিলেছিল। এবার কুকুর হত্যাকাণ্ডেও একই ধাঁচে তদন্ত শুরু হয়।

কাঁকুড়গাছিতে দুর্ঘটনার কবলে স্কুলবাস, আহত ৫ পড়ুয়া ]

এদিন পাঁচজন নার্সিং ছাত্রী তথা হস্টেলের আবাসিক ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে যৌথভাবে ডেকে পাঠায় এনআরএসের তিন সদস্যের টিম ও পুলিশ। এন্টালি থানায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়, মূল অভিযুক্ত দুই তরুণী হচ্ছেন সোমা ও মৌটুসি। এবার তাঁদের জেরা শুরু হতেই ভেঙে পড়েন তাঁরা। স্বীকার করেন, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে আসা কুকুর নিধনের ভিডিওয় যে দুই তরুণীকে দেখা গিয়েছে, তা তাঁরাই। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেরার মুখে দুই ছাত্রী দাবি করেন, রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে তাঁরা কুকুরছানাগুলিকে রড দিয়ে মারতে থাকেন। এতে চারটি কুকুরছানা আধমরা হয়। তাদের তাঁরা প্লাস্টিকবন্দি করে ফেলে দিয়ে আসেন। বাকি ১২টি কুকুরছানার মৃত্যুর দায় দু’জন নিজেদের উপর নিতে না চাইছেন না। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে অন্যরাও আছে। যদিও কারও নাম বলতে চাননি তাঁরা। ধৃত দুই ছাত্রীর বক্তব্য পুলিশ যাচাই করছে। কারণ, ১৬টি কুকুরছানার দেহ ময়নাতদন্ত করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সদ্য মারা গিয়েছে। আবার কয়েকটির দেহে পচন ধরেছে। সেই ক্ষেত্রে সোমা ও মৌটুসি শুক্রবার ও শনিবার বাকি কুকুরছানাগুলিকে পিটিয়ে খুন করেছিলেন কি না, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে। আবার সত্যিই এই ঘটনার পিছনে আরও কোনও নার্সিং ছাত্রী রয়েছেন কি না, তা জানতে চলছে তদন্ত। সেই ক্ষেত্রে বাকি দেহগুলি কে বা কারা গিয়ে একই জায়গায় ফেলে এল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। হাসপাতালের কোনও সিসিটিভিতে ওঠেনি কুকুর পেটানোর ফুটেজ। তাই যে জায়গা দিয়ে প্লাস্টিকে করে সেগুলির দেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেই জায়গাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, এদিন বিকেলে পশুপ্রেমীরা ডিসি (ইএসডি)র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রটে যায়, অভিযুক্তদের থানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকে তাঁর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। গাড়ির বনেটের উপর মারতে শুরু করেন কয়েকজন। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন মহিলা এন্টালি থানার সামনে পার্কিং করে রাখা পুলিশের বাইক লাথি মেরে ফেলে দেন।

সময়মতো সিপিআর দিলে বাঁচানো যেত অনিকেতকে ]

The post এনআরএসে ১২টি সারমেয়কে মারল কে? তদন্তে গোয়েন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement