সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২ মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার অন্তত ৩৫ গ্রামে ত্রাস হয়ে উঠেছে নরখাদক নেকড়ের দল। এই দলের ছয়টি নেকড়ের মধ্যে ধরা পড়েছে ৫টি। শেষ নেকড়েকে ধরতে জারি রয়েছে অভিযান। এরই মাঝে ফের নেকড়ে আতঙ্ক! মহসি তহসিলের গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করলেন, নতুন এক নেকড়ের দলকে দেখেছেন তাঁরা! আর সেই দলেই রয়েছে 'মানুষখেকো' ষষ্ঠ নেকড়েটিও। স্বাভাবিক ভাবেই এমন দাবি ঘিরে আতঙ্ক আরও ঘনিয়েছে।
কিন্তু সত্যিই কি নতুন করোনও নেকড়ের দলকে দেখা গিয়েছে? তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ রয়েছে। বন বিভাগের আধিকারিক অজিতপ্রতার সিং এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ষষ্ঠ নেকড়ের অন্তর্ধানও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও সেই 'মানুষখেকো'টির পাত্তা পাওয়া যায়নি। ব্যর্থ হয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক। পাতা হয়েছে ফাঁদ। এমনকী স্ত্রী নেকড়ের গলা স্পিকারে বাজানোও হচ্ছে। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে যদি সত্যিই ওই নেকড়ে-সহ নতুন দলের দেখা পাওয়া যায়, তাহলে প্রশাসনের উপরে চাপ যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
গত ২ মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছিল নেকড়ের দল। রাতের অন্ধকারে নরখাদকের হামলায় ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে ৯ জনই শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৩৬ জন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে সরকারের তরফে নেকড়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। লাঠি হাতে পাহারায় নামেন এলাকাবাসী। দলের ৬ সদস্যের মধ্যে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও বাকি দুই নেকড়ের হানায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল এলাকাবাসীর। পরে হরবক্ষ পুরওয়া গ্রামে খাঁচা পেতে নরখাদক দলের পঞ্চম নেকড়েকে আটক করেন বনকর্মীরা। এহেন পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ নেকড়েটিকে কোনও ভাবে ধরতে মরিয়া স্থানীয় প্রশাসন।