সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটো মানুষের বিয়ে। এমন একটা সম্পর্ক, যেখানে রয়েছে কেবল নির্ভেজাল বন্ধুত্ব। প্রেম নেই, শারীরিক সম্পর্কেরও জায়গা নেই। চাইলে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করা যেতেই পারে। এমন বিয়েতেই বাঁধা পড়ছেন জাপানের (Japan) বহু মানুষ। একে অপরের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছেন ৮০ শতাংশ মানুষ।
নয়া ধাঁচের এই বিয়ের নাম ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ। আর পাঁচটা বৈবাহিক সম্পর্কের মতো একেবারেই নয় এই বিবাহিত জীবন। আইনিভাবে স্বীকৃত এই বিয়েতে এক ছাদের তলায় থাকেন দুজন। কিন্তু একে অপরের প্রতি প্রেম নেই। শারীরিক সম্পর্কও থাকবে না। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতোই সমস্ত অধিকার পাবে এই দম্পতির সন্তানও। বিয়ের পর চাইলে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ক করতেই পারেন।
[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় ঘনঘন সঙ্গীর প্রাক্তনের প্রোফাইলে নজর? ‘রেবেকা সিনড্রোম’ নয় তো?]
কীভাবে হচ্ছে এই বিয়ে? দীর্ঘদিনের পরিচিতরা সাধারণত এইভাবে বিয়ে করছেন না। বিয়ের আগে কয়েকবার দেখা করেই বিয়ে করে ফেলছেন জাপানি তরুণ-তরুণীরা। সারাদিন কী খাওয়া হবে, কবে কাপড় কাচা হবে, ফ্রিজের কোথায় কী খাবার রাখা হবে, মাসের খরচ কীভাবে সামলানো হবে- এইসব আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে এই বৈবাহিক সম্পর্ক। সারাদিন পরে মন খুলে আড্ডা হবে, শুধু এই একটা কারণেই টিকে থাকছে বিয়ের সম্পর্ক।
জাপানের একটি সংবাদপত্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ৫০০টি দম্পতি এইভাবে বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ বিয়েই দিব্যি টিকে রয়েছে। অনেক দম্পতির সন্তানও রয়েছে। গড়ে ৩২ বছর বয়সিরা এই ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। কিন্তু সমাজের চাপে পড়ে তাঁদের বিয়ে করতে হচ্ছে। সেই জন্যই ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ বেছে নিচ্ছেন তাঁরা।