নব্যেন্দু হাজরা: মাঝে মাত্র আর একদিন। তারপরই যাত্রী নিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ছুটবে মেট্রো। ব্যস্ত সময়ে ছ’মিনিট আর সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট অন্তর ছুটবে এই রুটের মেট্রো। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হুগলির একটি অনুষ্ঠান থেকে ভারচুয়ালি এই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। তারপর আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই রুটের মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে।
নোয়াপাড়া থেকে ৪.১৪ কিলোমিটার বর্ধিত রেলপথে যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছুটবে। দুই স্টেশনের মাঝে রয়েছে বরাহনগর। উদ্বোধন ঘিরে এখন নয়া দুই স্টেশনে একেবারে সাজ-সাজ ব্যাপার। দক্ষিণেশ্বর থেকে সড়কপথে যেখানে নিউ গড়িয়া পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে মেট্রোয় এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে সেই দূরত্বে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা। ভাড়াও থাকছে ২৫ টাকাই। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোয় চড়তে গেলেও স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক থাকছে। টোকেন চালু হচ্ছে না। দিনে মোট ৭৯ জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে। আর দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম চলবে আরও তিন জোড়া। প্রথম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়বে সকাল সাতটায় এবং শেষ ট্রেন রাত সাড়ে ন’টায়।
[আরও পড়ুন : প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদনপত্র চাইল শাসক শিবির, তৃণমূল ভবনে বসল ড্রপবক্স]
লকডাউনের পর মেট্রো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। প্রথমদিকে সেভাবে যাত্রী না হলেও সেই সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আড়াই লাখ যাত্রীর গন্ডি ছাড়িয়েছে মেট্রো। আর দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চালু হলে আরও বেশি যাত্রী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএসের (CRS) ছাড়পত্র পেয়েছে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো (Dakshineswar-Noapara Metro)।
তৃতীয় লাইনের বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সিগন্যালিং, ট্রেন টাইমিং ইন্ডিকেশন বোর্ড, প্ল্যাটফর্ম, প্রবেশ এবং প্রস্থানপথ সবই গত সপ্তাহে এসে ঘুরে দেখেন সিআরএস। এই লাইনে প্রথম ট্রায়াল রান হয় ২৩ ডিসেম্বর। তারপর বেশ কয়েকদিন ট্রায়াল হয়েছে এবং তা হয়েছে নির্বিঘ্নেই। বরাহনগর স্টেশনটিও সিআরএসের তরফে খুঁটিয়ে দেখা হয়। মোটামুটি সব ঠিকঠাক আছে বলেই জানানো হয়েছে। এই রুটে মেট্রো চলাচল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।