সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া চাল ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya)। ভারতে ফেরা আটকাতে এবার ব্রিটেন সরকারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন লিকার ব্যারন। যার অর্থ এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো যাবে না। আর ব্রিটেন সরকার যদি শেষ পর্যন্ত মালিয়াকে নিজেদের আশ্রয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাঁকে আদৌ ভারতে ফেরানো যাবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ (State Bank of India) একাধিক ভারতীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ব্রিটেনে গা ঢাকা দিয়েছেন কিংফিশার (Kingfisher) এয়ারলাইন্সের কর্ণধার। ২০১৯ সালের ১৪ মে ইংল্যান্ডের আদালতে বিজয় মালিয়ার ভারতে প্রত্যার্পণ ঠেকানোর আরজি খারিজ হয়ে যায়। ইডি’র তরফে জানানো হয় খুব শিগগির বিজয় মালিয়াকে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে প্রত্যার্পণ করা হবে। কেননা তিনি প্রত্যার্পণ রোধের মামলায় পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে আইনি জটিলতা চলছেই। নিম্ন আদালতে পরাস্ত হওয়ার পর প্রত্যার্পণ ঠেকাতে ব্রিটেনের উচ্চ আদালতগুলিতে আবেদন করেন লিকার ব্যারন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে পরাস্ত হতে হয়। ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট স্তরের আদালতেও প্রত্যার্পণ মামলায় পরাস্ত হয়েছেন মালিয়া। কিন্তু তারপরও তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি ব্রিটেন। এতদিন ব্রিটেন সরকার দাবি করছিল, মালিয়া সংক্রান্ত ‘গোপন’ একটি মামলার শুনানি এখনও চলছে। সেই মামলাটির নিস্পত্তি হলেই তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু কী সেই গোপন মামলা? এতদিন জানায়নি ব্রিটেন।
[আরও পড়ুন: কৃষক নেতাদের খুনের ছক! মুখোশধারী ‘আততায়ী’কে শনাক্ত করে দাবি বিক্ষোভকারীদের]
শুক্রবার জানা গেল, মালিয়া ভারতে ফেরা আটকাতে ঘুরপথে ব্রিটেন সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। শুক্রবার, ঋণখেলাপি সংক্রান্ত একটি মামলায় মালিয়ার আইনজীবী নিজেই একথা স্বীকার করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালিয়া যদি ব্রিটেনে আশ্রয় পেয়ে যান তাহলে তাঁকে দেশে ফেরানো কঠিন হবে। তবে, তাঁর আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে, তিনি নিজের ব্রিটেনে থাকার বিষয়ে কতটা জোরাল যুক্তি দেখাচ্ছেন তার উপরে। যা পরিস্থিতি তাতে, মালিয়া ব্রিটেনে আশ্রয় পাবেন কিনা সেটা ঠিক হতে এখনও অনেকটাই সময় লাগবে। ততদিন অন্তত তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।