বাবুল হক ও শংকরকুমার রায়, মালদহ ও রায়গঞ্জ: নিরাপদ নয় বাড়িও! বাড়ির সামনে খেলা করার সময় সাত বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সালালপুর গ্রামে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তবে তদন্তে নেমে ৬ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে। তা বড়সড় সাফল্য বলেই দাবি করছে মালদহ পুলিশ।
শনিবার সকালে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে খেলছিল সাত বছরের নাবালিকা আফরোজা খাতুন। জানা যাচ্ছে, সেসময় বাইকে চড়ে আসে দুই দুষ্কৃতী। হেলমেট ছিল তাদের মাথায়। আফরোজার সামনে এসে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। নাবালিকার চিৎকার শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা নজরে আসে উপস্থিত আশপাশের মানুষজনের। ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। মেয়েকে কে বা কারা এভাবে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে, সে সম্পর্কে ধারণা করতে পারছেন না আফরোজার মা মালা বিবি ও বাবা রাজু শেখ।
তবে অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে। কীভাবে তা হল? জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ করণদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি এলাকায় ট্রাফিকের নাকা চেকিং পয়েন্টে দুই অপহরণকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ। দুই দুষ্কৃতীর নাম ত্রিশের মনসুর আলম এবং এজাজ আহমেদ। তাদের করণদিঘি থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, ধৃতরা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের গাঙ্গনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। করণদিঘি থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন,"শিশুটিকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা বিহারের পান্ডেপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে করণদিঘির দোমহনা সংলগ্ন টুঙ্গিদিঘি জাতীয় সড়কে গ্রেপ্তার করা হয়।" অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার বড়সড় সাফল্য বলেই দেখছে দাবি জেলা পুলিশের।