সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই কুয়েতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুদিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে খোঁচা কংগ্রেসের। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগীয় প্রধান জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছেন, মণিপুরের মানুষরা আজও অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু মোদি ঘনঘন বিদেশে যান।
এদিন তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, 'এটাই ওঁদের কপাল। মোদি দেখা করার কোনও দিন জানাননি। মণিপুরের মানুষ তাই অপেক্ষা করে রয়েছেন আজও। ওদিকে ঘনঘন বিদেশ যাওয়া মোদি এবার কুয়েতে গিয়েছেন।'
৪৩ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কুয়েতে গিয়েছেন মোদি। তাঁর এই সফরকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য মাত্রা পাবে বলেও আশাবাদী নয়াদিল্লি। কুয়েতে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। জানা যাচ্ছে, কুয়েতের আমিরশেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের-আল-সাবাহের সঙ্গে দেখা করবেন নমো। বৈঠকে বসবেন কুয়েতের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আরবিয়ান গালফ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি। এর মধ্যেই তাঁকে খোঁচা কংগ্রেসের।
প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যু নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। হাত শিবিরের নেতা পবন খেড়া নিজের এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লেখেন, ‘হাম তো বোলে থে মণিপুর। উও সমঝ বৈঠে করিনা কাপুর।’ অর্থাৎ, আমরা তো মণিপুর বলেছিলাম কিন্তু উনি করিনা কাপুর বুঝলেন। যদিও নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি খেড়া। তবু তাঁর ইঙ্গিত কোনদিকে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের।
কেন বারবার এমন প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস? ২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। কুকি-মেতেই সংঘাতের বলি হয়েছেন বহু মানুষ। শান্তি ফেরাতে লাগাতার চেষ্টা হলেও দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বারবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে যেন মণিপুরে যান। সেখানকার মানুষের দুরাবস্থার ছবি নিজের চোখে দেখেন। কিন্তু দেড় বছর কেটে গেলেও মণিপুরে পা রাখেননি মোদি।