সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) ছাত্র রাজনীতিতে বরাবরই দাপট দেখায় বাম সংগঠন। ২০১৪ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে একের পর এক সংঘাতে জড়িয়েছে জেএনইউয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম এই সময়েই ৩৫ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় তহবিল পেয়েছে জেএনইউ।
তথ্য জানার অধিকার আইনে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ মামলাকারী পুণের আরটিআই কর্মী প্রফুল সারদাকে জানিয়েছে, ২০০৪-’০৫ ও ২০১৪-’১৫ সালের মধ্যে জেএনইউ কেন্দ্রের কাছ থেকে ২০৫৫ কোটি টাকা ভরতুকি পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৫-’১৬ ও ২০২২-’২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভরতুকির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩০৩০ কোটি। অর্থাৎ মোদির আমলে জেএনইউ দেড় গুণ বেশি কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। অথচ ২০১৬ সাল থেকে দেশের এই বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোদি সরকারের বিরোধিতা করে একাধিক আন্দোলন হয়েছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar), উমর খালিদের মতো ছাত্রনেতারা।
[আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশের সীমান্তে আটকে ট্রাক, আসছে না ইলিশ, ক্ষতি কয়েক কোটি]
এর পরেই প্রফুল সারদা দাবি করে বলেন, শুধুমাত্র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়কে এত আর্থিক সাহায্য না করে কেন্দ্রের উচিত মুম্বই, পুণের মতো আরও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও আর্থিক সহযোগিতা করা। তাঁর কথায়, “আমাদের আরও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন। মুম্বই, পুণে ইউনিভার্সিটিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত সরকারের। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া গ্রামীণ এলাকা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে আসে। কেন্দ্রীয় ভরতুকি বাড়লে তাদেরও সুবিধা হবে।”
[আরও পড়ুন: কীর্তির কীর্তি: ক্যানসার আক্রান্তকে ‘ভাগিয়ে দিলেন’ সৌমিত্র খাঁ, ত্রাতা তৃণমূল সাংসদ]
জেএনইউয়ের ছাত্রমহলে একাংশের দাবি, চার বছর পর গত মার্চে ছাত্র সংসদের ভোট হয়। তাতে বাম ছাত্র মোর্চার কাছে চারটি পদেই পরাজিত হয় সঙ্ঘের ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপির প্রার্থীরা। কেন্দ্র বিপুল ভরতুকি দিয়ে জেএনইউতে গৈরিকীকরণের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।