ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: দিনভর টানাপোড়েনের অবসান। সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেল ৩৯ বছর বয়সি তরতাজা প্রাণ। পুলিশি নিরাপত্তায় শেষকৃত্য বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা (Manish Shukla)। তাঁর মরদেহ নিয়ে খড়দহ, টিটাগড়ে শোক মিছিল করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। তাতে নেতৃত্ব দেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল সংখ্যক পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খড়দহের আদর্শপল্লির বাড়িতে পৌঁছল মণীশ শুক্লার নিথর দেহ। বাড়ির সামনে ততক্ষণে জনসমুদ্র। করোনা আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে ঘরের ছেলেকে শেষবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমান সকলেই। বাড়ির ভিতর ততক্ষণে কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত মা, স্ত্রী-সহ আত্মীয়রা। কিছুক্ষণে দেহ আঁকড়ে ধরে চলে আবার কান্নাকাটি। সেই সময় নিহতের পরিজনদের সান্ত্বনা দিতে বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
[আরও পড়ুন: চাপের মুখে সুর বদল কেন্দ্রের, ‘গোর্খাল্যান্ড’ নয় বৈঠক হবে ‘GTA’ নিয়ে]
কিছুক্ষণ পর দেহ বাড়ি থেকে বের করা হয়। বিশাল সংখ্যক বিজেপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মিছিল বের করা হয়। খড়দহের বিজেপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। রাস্তার দু’পাশে তখন উপচে পড়া ভিড়। এলাকার প্রিয় নেতাকে সকলেই ফুল, মালা দিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় টিটাগড়ে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ দেহ রাখা হয়। সেখানেও তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান অনেকেই। টিটাগড় (Titagarh) থানার অদূরে যে জায়গায় রবিবার রাতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়, ওই ঘটনাস্থলেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় আগেভাগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা।
বেশ কিছুক্ষণ পর রাসমণি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় মণীশ শুক্লার দেহ। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। কে বা কারা খুন করল সেই প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই শেষকৃত্য অর্জুন ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্লার। মাত্র ৩৯ বছর বয়সি তরতাজা প্রাণের চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। সুবিচারের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। এদিকে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই মহম্মদ খুররম নামে একজনকে আটক করেছে সিআইডি।