সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে বলিউডের ছবি বয়কট করার ট্রেন্ড। নতুন ছবির ট্রেলার মুক্তি পেলেই নেটিজেনদের একাংশ হামলে পড়ে ছবিকে বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এর নেপথ্যে যে কী মানসিকতা কাজ করছে, না ভাবতে ভাবতে দিন কাটছে বলিউড ছবির নির্মাতাদের। তবে এই বয়কট ট্রেন্ড যে মোটেই ভাল নয়, তা হারে হারে বুঝতে পেরেছে আমির খানের ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। আর হালফিলের ‘পাঠান’ নিয়ে যা চব্য চলছে, তা রীতিমতো ভাবাচ্ছে বিনোদনজগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের।
আর এই ভাবনা থেকেই এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ। বয়কটের বাড়াবাড়ি আটকাতে সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করল এই সংস্থা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলিউড তারকাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরই এই পদক্ষেপ । বুধবার অভিনেতা সুনীল শেট্টিও যোগীর কাছে এই সমস্যার কথা খুলে বলেছিলেন। বলিউড-বিরোধী মনোভাব এবং আনুষঙ্গিক ঘৃণার বাতাবরণ থেকে বেরোনোর জন্য কী করণীয়, সে বিষয়ে যোগীর পরামর্শ চান সুনীল। তারপরই এ ধরনের পদক্ষেপ নিল দেশের বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। পশ্চিমের চলচ্চিত্র কর্মীদের সংগঠনের তরফেও সেই হিংসাপ্রচারের প্রবণতা আটকানোর আর্জি সরকারের কাছে।
[আরও পড়ুন: জনসেবাই ধর্ম! সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ফের নির্বাচনী লড়াইয়ে হিরো আলম]
ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ তাদের বিবৃতিতে লেখে “যে কোনও ছবি মুক্তির আগেই তার পোস্টারের নীচে কিংবা ট্রেলার মুক্তির পর ভরে যাচ্ছে এই ধরনের মন্তব্য। কিন্তু কেন? আদৌ কি তাঁরা ছবিটা দেখে মন্তব্য করছেন? এক জন হিংসা ছড়িয়ে অন্যকে প্রভাবিত করবেন কেন? সরকার এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। বয়কটের রব তুলে এই ধ্বংসের অভিযান বন্ধ হোক।”
প্রসঙ্গত, ‘পাঠান’ ছবির মুক্তি যত সামনে আসছে, বিতর্কের তেজ যেন আরও বেড়েই চলছে। এতদিন ছবিকে বয়কট করার জন্য নানা পন্থা নিচ্ছিল দেশের হিন্দু সংগঠনগুলো। তবে এবার বিতর্কের পারদ গেল চড়ে। আহমেদাবাদের একটি মাল্টিপ্লেক্সে ঢুকে শাহরুখ ও দীপিকার ছবির কাট আউটের উপর হামলা চালাল বজরং দলের সদস্যরা। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বজরং দলের সদস্যরা ওই থিয়েটারের কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেন, ”এখানে দীপিকা এবং শাহরুখের পাঠান ছবি দেখানো যাবে না। তাঁদের কথা না শুনে যদি এই ছবি প্রদর্শন করা হয়, তা হলে বজরং দলের আসল রূপ দেখতে পাবেন তাঁরা। হিন্দু ধর্মের অবমাননা কখনও সহ্য করবে না বজরং দলের সদস্যরা।”