সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়েবাড়িতে গান গাওয়ার জন্য ডেকে তরুণীর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণের (Gangrape) মতো গুরুতর অভিযোগে সরগরম পাটনা। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পাটনার (Patna) রামকৃষ্ণ নগর। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। ওইদিন রামকৃষ্ণ নগরের এক বিয়েবাড়িতে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এক গায়িকাকে (Singer)। জাহানাবাদের বাসিন্দা ওই তরুণী সাধারণত জন্মদিন, বিয়ে এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে থাকেন। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইতে হবে শুনে আপত্তি করেননি। সাগ্রহে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু আনন্দের অনুষ্ঠানে গিয়ে যে এমন বিপদের মুখে পড়বেন, তা কল্পনাও করেননি। গণধর্ষণের শিকার হলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করা কুকুরের অপমান’, বিতর্ক আরও বাড়ালেন সেলিম]
পুলিশকে ওই গায়িকা জানিয়েছেন, “আমি বিয়েবাড়িতে গিয়ে অবাক হয়ে যাই। দেখি, সেখানে বিয়ের কোনও আসরই বসেনি। ওখানে যারা ছিল, তাদের জিজ্ঞেস করতেই তারা আমার দিকে বন্দুক তাক করে। তারপর জোর করে একটি ঘরে টেনে নিয়ে গেলেন। এরপর একের পর এক পুরুষ আমাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এমনকী সেই দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করে। এরপর আমি কোনওক্রমে ওদের সঙ্গে লড়ে ঘর থেকে বেরতে পারি। আর বেরিয়েই ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিই। তারপর পুলিশকে খবর দিই।”
[আরও পড়ুন: মাথায় ঋণের বোঝা, শেষ সম্বলও গেল IPL-এর বেটিংয়ে, আত্মহত্যা মা ও ছেলের]
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম পিণ্টু কুমার, সঞ্জীব কুমার, কারু কুমার। রামকৃষ্ণ নগরের পুলিশ আধিকারিক রবিরঞ্জন জানিয়েছেন, “সম্ভবত ধৃত পিণ্টু কুমার নির্যাতিতার পরিচিত। সে-ই তরুণীকে ডেকেছিল বিয়েবাড়িতে গান গাওয়ার জন্য। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ডি অর্থাৎ গণধর্ষণ, অস্ত্র আইনের ৩৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে তাদের।”