সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে জেল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল শিন্ডের শিবসেনায়। দেওয়া হয়েছিল এক বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটির প্রধানের দায়িত্ব। তবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল দল। ফলে দলে যোগ দিয়েও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন লঙ্কেশ খুনে অভিযুক্ত শ্রীকান্ত পানগড়কর। জানা যাচ্ছে, একমাস পর বিধানসভা নির্বাচন মহারাষ্ট্রে। এই অবস্থায় দলের ভাবমূর্তিতে কোনও রকম কালি লাগুক তা কোনওভাবেই চান না শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তাই এই পদক্ষেপ।
গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শ্রীকান্ত। এর পর গত শুক্রবার রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁকে দলে নেয় একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। দলের প্রবীণ নেতা অর্জুন খোটকারের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের জালনা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত একজনকে কেন দলে নেওয়া হল এবং এত বড় পদ দেওয়া হল তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তোলে বিরোধী শিবির।
নির্বাচনের ঠিক আগে এই ইস্যুতে হাতিয়ার করে বিরোধী শিবির যাতে মাঠে নামতে না পারে সে কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। চরম সমালোচনার মাঝে মাঠে নামেন খোদ শিন্ডে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি নির্দেশ দেন, শ্রীকান্তকে দলের কোনও পদে রাখা যাবে না। এমনকি নেতৃত্বের তরফে তাঁর নিয়োগকে বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন শিন্ডে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুন হন সাংবাদিক, সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশ। সেই মামলায় ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হন শ্রীকান্ত। অভিযোগ ওঠে হত্যাকারীদের অস্ত্র জোগাড় করে দিয়েছিলেন তিনিই। এই মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন শ্রীকান্ত। জেলমুক্তির পরই পুরনো দল শিবসেনায় যোগ দেন তিনি।