সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা ধনকুবের জং শানশানকে টপকে এশিয়ার (Asia) দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন কেবল মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) পিছনে। তবে আপাতত পিছনে থাকলেও মোট সম্পত্তির পরিমাণে তিনি কিন্তু খুব কাছাকাছি পৌছে গিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধারের। যে গতিতে তাঁর সম্পদ বেড়েছে, তাতে অচিরেই আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন আদানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গোটা বিশ্বের নিরিখে এই মুহূর্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে আম্বানি ও আদানি। আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ যেখানে ৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার, সেখানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭.৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সম্পদের পরিমাণে রিলায়েন্স কর্ণধারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের কর্ণধারের তফাত মাত্র ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র পুলিশের বড়সড় সাফল্য, এনকাউন্টারে নিকেশ ১৩ মাওবাদী]
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি ভারতের তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা আর বেশি দিন থাকবে না মুকেশ আম্বানির মাথায়? আসলে আদানির দ্রুত উঠে আসাই এই সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে। কেবল ২০২১ সালেই গৌতম আদানির সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩.৮ বিলিয়ন ডলার। গোটা বিশ্বের হিসেবে এই সময়ে এর থেকে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র দু’জন ধনকুবেরের। অথচ এই সময়কালে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ তো বাড়েইনি। বরং তিনি হারিয়েছেন ৩৯৮ মিলিয়ন ডলার। এই পরিসংখ্যানই পরিষ্কার করে দেয় ছবিটা।
কী করে এভাবে উল্কার গতিতে উঠে আসছেন আদানি? আসলে তাঁর সংস্থাগুলির শেয়ারের আকাশছোঁয়া বৃদ্ধিই এর পিছনে আসল কারণ। তাঁর ছয় সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইসেস, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন- এর সম্মিলিত বাজার মূলধন বৃহস্পতিবারের হিসেবে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
একথা ঠিকই, পরিস্থিতি আবার দ্রুত পরিবর্তিত বদলে যেতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে ট্রেন্ড আদানির পক্ষে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে শীর্ষস্থান ধরে রাখাটা প্রচণ্ড কঠিন হয়ে উঠবে মুকেশ আম্বানির পক্ষে।