সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে হাতের মুঠোয় রাখতে চাইতেন স্ত্রী। শ্বশুর-শাশুড়িকে বিতাড়িত করে পুরো বাড়ির দখল করে নিতে চেয়েছিলেন। আর সেই উদ্দেশ্য সাধন করতে অভিনব এক উপায় অবলম্বন করেছিলেন গাজিয়াবাদের (Gaziabad) এক মহিলা। কিন্তু তাঁর সেই কীর্তি এবার শ্রীঘরে নিয়ে যেতে পারে তাঁকে। কী করেছেন ওই মহিলা?
স্বামীর অভিযোগ, প্রতিদিন রাতের খাবারে ঋতুস্রাবের রক্ত মিশিয়ে দিতেন স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষাক্ত খাবার খাওয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পাকস্থলীতে বাসা বেঁধেছিল জীবাণু। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করাতেই উঠে আসে আসল সত্য। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। কবি নগর থানায় জমা দেন মেডিক্যাল রিপোর্টও। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগের সত্যতা জানতে চার সদস্যদের মেডিক্যাল বোর্ড গড়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশ।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’, বাইক পার্কিং নিয়ে বচসায় তরুণকে মার]
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে বিয়ে হয় অভিযোগকারীর। দম্পতির এক ছেলেও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর পরই আলাদা সংসার পাতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। বাড়ি থেকে শ্বশুর-শাশুড়িকে তাড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চালাতেন তিনি। এমনকী, স্বামীকে বশে রাখতে করতেন নানারকম তুকতাকও। তবু বাবা-মাকে ছেড়ে যেতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। কিন্তু রোজকার অশান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান অভিযোগকারীর বাবা-মা। তার পর থেকেই অভিযুক্ত স্ত্রী ওই ব্যক্তির খাবারে ঋতুস্রাবের রক্ত মেশাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অপকর্মে শামিল ছিল অভিযুক্তর শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শ্যালকও। ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা শুনেই প্রথম সন্দেহ জাগে অভিযোগকারীর। মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতেই আসল সত্য সামনে আসে। তার পরই স্ত্রী-সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ওই ব্যক্তির অভিযোগের সত্যতা জানতে চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। অভিযোগকারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে তার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।