সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে দেশে আনা ৮টি চিতাকে (Cheetah) বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর কেন্দ্র। আর তাই পাঁচ মাসের এক জার্মান শেফার্ডকে আনা হয়েছে চোরাশিকারীদের হাত থেকে ওই চিতাদের রক্ষা করতে। কেবল ওই কুকুরটিই নয়, ছ’টি কুকুরের ‘সুপার স্নিফার’ স্কোয়াড তৈরি করা হচ্ছে। এদের দেশের বিভিন্ন অভয়ারণ্যে নিযুক্ত করা হবে। উদ্দেশ্য একটাই। চোরাশিকার বন্ধ করা।
সাড়ে সাত দশক পরে দেশে চিতার পুনরার্বিভাব নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তাদের বাসস্থান মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শেওপুর জেলার কুনো-পালপুর অভয়ারণ্যে। সেখানে যাতে চোরাশিকারীরা থাবা না বসাতে পারে তাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জার্মান শেফার্ড ‘ইলু’কে। এই মুহূর্তে ‘ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্সে’র কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সে।
[আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে প্রস্তুত রাজ্য, প্রয়োজনে বাতিল ‘ব্যতিক্রমী’ নিয়োগ, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী]
আপাতত সে আর তার পাঁচ সঙ্গীর ওই ট্রেনিং পর্ব চলবে তিন মাস। এরপর আরও চার মাস তাদের বশ্যতা, গন্ধ শোঁকা ও অপরাধীকে খুঁজে বের করার মতো ‘স্কিল’গুলি শেখানো হবে। তারপর আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কাজে মোতায়েন করা হবে তাদের। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে কুকুর স্কোয়াডের সদস্যদের রাখা হবে।
ইলুর প্রভু সঞ্জীব শর্মা জানাচ্ছে, কুকুরটি তাঁর সন্তানের মতো। মাত্র ২ মাস বয়স থেকে ইলু রয়েছে তার সঙ্গে। কিন্তু চিতাগুলিকে কীভাবে রক্ষা করবে সে? এপ্রসঙ্গে সঞ্জীবের মন্তব্য, ”ইলু কিন্তু সেই অর্থে চিতাগুলিকে সুরক্ষা দেবে না।” তিনি জানাচ্ছেন, ইলু-সহ সব কুকুরগুলিকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে তারা অনায়াসে বাঘের চামড়া, হাড়কে চিনতে পারে। অতীতে বহু ক্ষেত্রেই চোরাশিকারীদের ধরিয়ে দিতে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছে কুকুর বাহিনী। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই কুকুরগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।