সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-৭ (G-7 Summit) বৈঠকে অতিথি তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে ভারত। আগামী জুনে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) উপরে হামলার পরে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলির সুরে সুর মিলিয়ে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করতে দেখা যায়নি ভারতকে। বরং হাবেভাবে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবে না। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ জার্মানি এবারের বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।
আগামী জুনে জার্মানির (Germany) মিউনিখের বাভারিয়ায় ওই বৈঠক হওয়ার কথা। জার্মানি চাইছে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সংশয়ে তারা। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইউক্রেন হামলার আগে ভারত তালিকাতেই ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতকে নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
[আরও পড়ুন: যৌনতায় আসক্তি, ৫০ মহিলার সঙ্গে সঙ্গম, শেষে প্রেমিকাকে খুন করল যুবক!]
এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি ভারত। বরং তেল থেকে অস্ত্র, মস্কোর থেকেই কেনার ব্যাপারে অটল রয়েছে। তার উপর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবে ভোটদান থেকেও বিরত থেকেছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ। আমেরিকার আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ২৪টি দেশ। ভারত-সহ মোট ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
সব মিলিয়ে ভারতের অবস্থানে অসন্তুষ্ট জার্মানি। আর তাই জি-৭ বৈঠকে দিল্লিকে আহ্বান জানানো নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত তারা। তবে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের কাছে অবশ্য সমালোচিত হতে হয়েছে জার্মানিকেও। এখনও প্রাকৃতিক শক্তির বিষয়ে রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল জার্মানি। এবিষয়ে অবশ্য বার্লিনের যুক্তি, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাশিয়া-নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কিন্তু দেশের কলকারখানা চালাতে এখনও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।